১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন: লিখিত পরীক্ষা পেছানো নিয়ে যা জানালো এনটিআরসিএ
ডেস্ক নিউজ:
১৮তম নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা স্থগিতকরণ সম্পর্কে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এটি ব্যাপকভাবে প্রচার করা হচ্ছে। এ বিষয়ে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) জানিয়েছে, ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। এ পরীক্ষা পেছানোর কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
বুধবার এনটিআরসিএর যুগ্ম-সচিব মুহম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকীর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এনটিআরসিএর ব্যবস্থাপনায় ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা ২০২৩ এর লিখিত পরীক্ষা আগামী ১২ ও ১৩ জুলাই দেশের আটটি বিভাগীয় জেলা শহরের বিভিন্ন ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে। জেলাগুলো হলো- ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, খুলনা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর ও সিলেট।
সময়সূচি অনুযায়ী- ১২ জুলাই সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত স্কুল-২ ও স্কুল পর্যায়ের লিখিত পরীক্ষা হবে। এছাড়া ১৩ জুলাই সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কলেজ পর্যায়ের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এতে আরো বলা হয়, পরীক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিভ্রান্ত করার জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কিছু কুচক্রীমহল বিভিন্ন নিউজ পোর্টালের মাধ্যমে ১৮তম নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা স্থগিতকরণ সম্পর্কে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করছে, যা জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তা ব্যাপকভাবে প্রচার করা হচ্ছে। এসব অপসংবাদে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে।
এদিকে, গত কয়েকদিন ধরে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবি জানিয়ে আসছেন বন্যাকবলিত জেলাগুলোর চাকরিপ্রার্থীরা।
এনটিআরসিএ সচিব ওবায়দুর রহমান বলেন, সিলেট অঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। সিলেটের যে কেন্দ্রগুলোতে পরীক্ষা হবে, সেখানে পানি ওঠার সম্ভাবনা নেই। এছাড়া অন্যান্য বিভাগেও বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। কাজেই পরীক্ষা পেছানোর মতো পরিস্থিতি এখনো তৈরি হয়নি।
গত ১৫ মে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন প্রার্থী। এর মধ্যে স্কুল-২ পর্যায়ে ২৯ হাজার ৫১৬ জন, স্কুল পর্যায়ে ২ লাখ ২১ হাজার ৬৫২ জন এবং কলেজ পর্যায়ে ২ লাখ ২৮ হাজার ৮১৩ জন পাস করেছেন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে গড় পাসের হার ৩৫ দশমিক ৮০ শতাংশ।