সমুদ্রপথে আম রফতানির সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের
ডেস্ক নিউজ:
ব্যবসায়ীদের আম রফতানি করতে যেসব প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয় তা নিরসনে কাজ করছে সরকার। এসব প্রতিবন্ধকতার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বিমান ভাড়া বেশি।
রফতানিকারদের ইউরোপে ফল পাঠাতে প্রতি কিলোগ্রামে ৪ থেকে ৫ ডলার পরিমাণ খরচ করতে হয় যা সত্যিই খুব ব্যয়বহুল।
পরীক্ষামূলকভাবে একটি চালান সমুদ্রপথে পাঠানো হবে এমন তথ্য দিয়ে রফতানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্পের প্রজেক্ট ডিরেক্টর মোহাম্মদ আরিফুর রহমান বলেন, যদি আমরা এই পদ্ধতিতে সফল হই তাহলে সমুদ্রপথ কে আম রফতানির প্রধান মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতে পারবো।
প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের উদাহরণ টেনে মোহাম্মদ আরিফুর রহমান বলেন, কিছু কিছু দেশ এরই মধ্যেই সমুদ্রপথ ব্যবহার করে তাদের নিকটবর্তী গন্তব্যে আম পাঠাতে শুরু করেছে।
এদিকে, নতুন ব্যবস্থার সম্ভাব্যতা যাচাই করার জন্য, বাংলাদেশ থেকে আমের একটি চালান আগামী সপ্তাহে জাহাজে নেদারল্যান্ডসে পাঠানো হবে, যার প্রতিকেজি বহনের মূল্য আনুমানিক ১ ডলারের-এর কম।
গত বছর প্রতিকেজি আম এর মালবাহী খরচ ছিল প্রায় ২ ডলার। যা উৎপাদনকারীদের প্রায় ৩,০৯২ টন আম ৩৮টি দেশে রফতানি করতে খুব সহায়তা করেছিল। এর ফলে আম রফতানি প্রায় ৭৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২২ সালে, প্রায় ১৭৫৭ টন আম রফতানি করা হয়েছিল।
যাইহোক, সময় বদলেছে, বিমানের সক্ষমতার স্বল্পতা, উচ্চ মালবাহী খরচ এবং পচনশীল দ্রব্য হওয়ার কারণে আম রফতানি অর্ধেকে নেমে এসেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের প্ল্যান্ট কোয়ারেন্টাইন উইংয়ের উপ-পরিচালক মফিজুল ইসলামের মতে, এ বছর এখন পর্যন্ত মাত্র ৬৭৭ টন আম রফতানি করা হয়েছে। তুলনামূলকভাবে, গত জুলাই পর্যন্ত, বাংলাদেশ থেকে প্রায় ২১২৩ টন আম রফতানি করা হয়েছে।
সূত্র: দ্য লোডস্টার