সেনাবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ ওমর ফারুক ও নওগাঁর শরিফুলের বিরুদ্ধে
নিজস্ব প্রতিনিধি:বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে উঠেছে সাতক্ষীরা শ্যামনগরের ওমর ফারুক ও তার সহযোগী নওগাঁর শরিফুলের বিরুদ্ধে।রবিবার সকালে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব চত্বরে রাজশাহীর বাঘা থানার চক ছাতারী গ্রামে থেকে আসা সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট মোঃ শহিদুল ইসলাম এই অভিযোগ করেন।তিনি বলেন, সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত প্রতারক সাতক্ষীরা শ্যামনগর দাতিনাখালী এলাকার ওয়াজেদ আলী গাজীর ছেলে ওমর ফারুক ও তার সহযোগী নওগাঁ সাপাহার থানার হোসেনডাঙ্গা এলাকার ফয়মুদ্দিন মন্ডলের ছেলে সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত শরিফুল চক্রের কবলে পড়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে রাজশাহীর পাঁচ যুবক। তারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের অর্ধ শত বেকার যুবকে সেনাবাহিনীতে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা।তিনি আরও বলেন, ২০০৮ সালে যশোর সেনানিবাসে একসাথে চাকরির সুবাদে পরিচয় হয় সাতক্ষীরা শ্যামনগরের ওমর ফারুক এর সাথে । পরে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে মোবাইল ফোনে ওমর ফারুক যোগাযোগ করে আমার সাথে। তখন ওমর ফারুক আমার কাছে রাজশাহী সেনাবাহিনীর রিক্রুটিং সার্জেন্ট মেজর পরিচয় দিয়ে বলেন, আপনার আত্মীয় স্বজন আর্মিতে চাকুরির যোগ্য কেউ থাকলে চাকরি দিতে পারবো। রাজশাহী সেনাবাহিনীতে বিভিন্ন জায়হায় নয়টি পদ খালি আছে। আপনি আমাকে পাঁচজন কে দেন আমি চাকুরী দিয়েদেবো। পরে চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারী সকালে রাজশাহী টি-বাঁধ এলাকায় আমার ও আমার আত্মীয়, পরিচিত ৫ জন চাকুরী প্রার্থীর সাথে দেখা করে ওমর ফারুক ও তার সহযোগী সহযোগী শরিফুল। এসময় চাকুরি দেওয়ার প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রসহ চার লক্ষ টাকা গ্রহণ করে তারা। ফেব্রুয়ারীর ২২ তারিখে নিয়োগ পত্র দিবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। পরে ১৯ ফেব্রুয়ারি তারিখে আবার পুনরায় ফোন দিয়ে বলে ক্যান্টনমেন্টের সিওস্যার নিয়োগের সম্পূর্ণ টাকা ২২ তারিখের মাঠের পূর্বেই পরিশোধ করতে হবে। সম্পূর্ণ ৪০ লক্ষ টাকার মধ্যে ওই পাঁচজন এর কাছ থেকে ১৯ লক্ষ টাকা একুশে ফেব্রুয়ারি বিকেল তিনটার সময় রাজশাহী বর্ণালী মোড়ে ওমর ফারুকের ও শরিফুলের সাথে দেখা করে প্রদান করাহয়। বাকি ১৬ লক্ষ টাকা বাবদ তিনটি ফাঁকা ব্যাঙ্কের চেক প্রদান করি। আমাদের হোটেলে অপেক্ষা করতে বলে। কালকে মাঠে যাওয়ার ডকুমেন্টস তৈরি করব বলে প্রতারক ওমর ফারুক সেখান থেকে চলেযায়। তারপর থেকে তাদের ফোন বন্ধ মেসেঞ্জার বন্ধ আর তাদের খোঁজ পাওয়া যায় না। তাদের সাথে কোন যোগাযোগ সম্ভব হয় না। পরে খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারি ফারুক ও শরিফুল দুজনেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সেনাবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বহু মানুষের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। প্রতারণার দায়ে তারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত হয়েছে। প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাৎ এর দায়ে কয়েক বার জেলও খেটেছে। তাদের নামে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। পরবর্তীতে রাজশাহী আদালতে ওমর ফারুক ও শরিফুল এর নামে প্রতারণা মামলা করি। এছাড়া সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপারের কাছেও লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।এব্যাপারে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার এর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। প্রতারক ওমর ফারুক ও তার সহযোগী শরিফুলকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।