সাতক্ষীরা বিআরটিএ সহকারী পরিচালকের দুর্নীতির প্রকাশিত হওয়ায় গাত্রদাহ শুরু
এস কে কামরুল হাসান :সাতক্ষীরা বিআরটিএ সহকারী পরিচালকের অনিয়ম দুর্নীতি পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ায় গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। গত কাল ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক সকালের সময় সহ স্থানীয় পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে গাত্রদহ শুরু হয় সহকারী পরিচালক মাহাবুর রহমানের বিআরটিএ কতৃপক্ষ কৃতক কাছে স্মার্ট কার্ড জালিয়াতির অভিযোগ করায় অভিযোগকারী আসাদুজ্জামান কে অফিসে ডেকে লাঞ্জিত করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে সাতক্ষীরা বিআরটিএ সহকারী পরিচালক মাহবুব রহমান। সম্প্রতি বিআরটি’ তে একটি চক্রের মাধ্যমে বাইকের স্মার্ট কার্ড জালিয়াতি করার অভিযোগ উঠেছে । যে বাইকটির স্মার্ট কার্ড জালিয়াতি করা হয়েছে সেই বাইকটির মূল মালিক কালিগঞ্জের উপজেলা তারালী গ্রামের ব্যবসায়ী আসাদুজ্জামান, তার বাইকের স্মার্ট কার্ড করতে এসে দেখে তার ফিঙ্গার দিয়ে স্মার্ট অন্য কেউ উঠিয়ে নিয়ে গেছে বিআরটিএ অফিস থেকে। এ বিষয় আসাদুজ্জামান বিআরটিএ সহকারী পরিচালক মাহবুব রহমান কে মৌখিক ভাবে জানালে তিনি ঘটনাশুনে সহকারী পরিচালক বরাবর অভিযোগ করার পরামর্শ দেন। উল্লেখ্য আসাদুজ্জামান সহকারী পরিচালক বরাবর অভিযোগ দিয়ে দুই সপ্তাহ গড়িয়ে গেলেও অভিযোগ টি তদন্ত না করে বিভিন্ন তালবাহনা শুরু করে অভিযোগটি উঠিয়ে নিতে বিআরটিএ অফিস ও অফিসের সক্রিয় চক্রটি নানা হুমকি সহ ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসাদুজ্জামান কে। বিআরটিএ অফিস সহকারী সাইফুল তার মুটো ফোনে অভিযোগকারী আসাদুজ্জামান কে বিষয় টি মিমাংসার প্রস্তাব দিয়ে অফিসে আসতে বলে ।আসাদুজ্জামান অফিসে আসলে সাইফুল তাকে টাকা দিয়ে মীমাংসা করে নিতে বলে। আসাদুজ্জামান সাইফুলের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সাইফুল তাকে অশালীন আচরণ করে প্রকাশ্য হুমকি দিয়ে বলে ? অভিযোগ তুলে না নিলে গাড়ির রেজিষ্ট্রেশন বাতিল করে দেব এবং দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। সম্প্রতি সাইফুলের বিরুদ্ধে রয়েছে নানান অভিযোগ। তার বাড়ি কালিগঞ্জ উপজেলা রতনপুর গ্রামে হওয়ার সত্বেও সে দীর্ঘদিন ধরে বিআরটিএ অফিসে একত্র প্রভাব বিস্তার করে অনিয়ম ও জালিয়াতি করে আসছে। সে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী হয়েও , অফিস নিয়ন্ত্রণ করে বড়বাবু হিসাবে নিজেকে জাহির করে ।সাইফুলের সাতক্ষীরা শহরে রয়েছে আলিশান বাড়ি সহ বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ।