নৌপরিবহন অধিদফতরের প্রকৌশলী সাইফুরের কারাদণ্ড
ডেস্ক নিউজ:
ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের করা মামলায় নৌপরিবহন অধিদফতরের প্রকৌশলী (বর্তমানে বরখাস্ত) মির্জা সাইফুর রহমানকে দুই ধারায় চারবছর সশ্রম কারাদণ্ড ও চার লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।
তবে দুই ধারার সাজা একসঙ্গে চলায় তাকে দুইবছর কারাভোগ করতে হবে। সাজাপ্রাপ্ত সাইফুর রহমান সদরঘাটের ঢাকা নদী বন্দরের ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্ড শিপ সার্ভেয়ারের কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। তিনি মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানার নাকোল গ্রামের মির্জা আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, সোমবার সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক মো. আবুল কাশেম এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে আসামিকে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারায় দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। একইসঙ্গে ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত আসামি মির্জা সাইফুর রহমানকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের আগস্টে এমএস শিপিং লাইন্স নামক একটি জাহাজ মেরামত ও পরিদর্শনের জন্য সরকারিভাবে অনলাইনে বিআইডব্লিউটিএর ওয়েবসাইটে আবেদন করেন জাহাজের ম্যানেজার মো. মনিরুজ্জামান। তবে এ কাজ করার জন্য দুই লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন আসামি মির্জা সাইফুর রহমান। পরে মনিরুজ্জামান ঘুষ দিতে যাওয়ার আগে দুর্নীতি দমন কমিশনকে অবহিত করে। এরপর অফিসে বসে ঘুষ গ্রহণের সময় ২০১৯ সালের ২ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত সাইফুরকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার নিকট থেকে ঘুষের দুই লাখ টাকা জব্দ করা হয়। মামলার রায়ে এ অর্থ বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
ঘুষ গ্রহণের দিন হাতেনাতে ধরার পর সাইফুরের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক মো. আবদুল ওয়াদুদ। পরে মামলাটি তদন্ত শেষে সে বছরের ২৫ নভেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম।
পরে ২০২০ সালের ৫ নভেম্বর মামলার অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮ এর বিচারক মো. শামীম আহাম্মদ।