তালায় শিক্ষাদস্যু ফিরোজের কয়েক কোটি টাকা নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ

তালা প্রতিনিধিঃ যোগাদানের পর থেকে বেপরয়া হয়ে উঠেছে তালা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ফিরোজ আহমেদ। অভিযোগ রয়েছে ইতিমধ্যে হাতিয়ে নিয়েছে কয়েক কোটি টাকা।ঘুষের টাকা তৈরি করেছে ইতিমধ্যে খুলনার জোড়া গেট এলাকায় বহুতল বিশিষ্ট নির্মানধীন বাড়ি। এছাড়া স্ত্রীর নামে নিজ এলাকা বাগেরহাটের ফকিরহাটে কিনেছে কয়েক একর জমি বলে জানিয়েছে স্থানীয় একটি সুত্র।অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১৩ এপ্রিল তালায় যোগাদানের পর থেকে উপজেলার প্রায় শতাধিক নিয়োগ তার আমালে সংগঠিত হয়েছে। আর এই নিযোগ বানিজ্যে মোটাংকের টাকা যায় তার পকেটে।কয়েক মাস আগে তেরছি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সৈয়দ দিদার বকস মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলাগাছি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সুজন শাহ বালিকা বিদ্যালয়, ইসলামকাটি পি এন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ইসলাম কাটি বালিকা বিদ্যালয়,কুমিরা পাইলট বালিকা বিদ্যালয়,পাটকেলঘাটা আদর্শ বিদ্যালয়, বারাত মনোহর পুর বিদ্যালয়, কাশিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাগুরা বালিকা বিদ্যালয়,তালা পাবলিক স্কুল, কৃষ্ণকাটি মাধ্যমিকক বিদ্যালয়,খলিল নগর ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, খলিল নগর বালিকা বিদ্যালয়, কৃষ্ণ কাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, খেরশা বালিকা বিদ্যালয়, ঘোষ নগর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়,মহান্দি প্রগতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, জে এন এ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, এইচ এম এস মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে নিয়োগ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে কয়েক কোটি টাকা। এছাড়া নিয়োগ প্রতি তাকে গুনতে হয় দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকা যেটি তালার এখন ওপেন সিকরেট। নাম না জানানোর শর্তে তালা উপজেলার এক শিক্ষক নেতা জানান, ফিরোজ আহমেদ তালায় যোগাদানের পর থেকে তালা শিক্ষা অফিস দূর্নীতির আখড়ায় পরিনত হয়েছে। বিদ্যালয়ে কোন নিয়োগ করাতে গেলে নিয়োগ প্রতি গুনতে হয় দেড় থেকে দুই লাখ টাকা ঘুষ। ঘুষের টাকায় ইতিমধ্যে খুলনা শহরের জোড়াগেট এলাকায় তৈরি করেছেন বহুতল বিশিষ্ট বিলাশ বহুল বাড়ি। এছাড়া তার গ্রামের বাড়ি বাগের হাটের ফকিরহাট এলাকায় স্ত্রী নামে কিনেছেন কয়েক একর জমি ।তিনি আরো জানান,নতুন প্রতিষ্টানে এমপিও ভুক্ত করতে গুনতে হয় মোটাংকের ঘুষ। দাবি মত টাকা না দিলে ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের পড়তে হয় তার রোষানালে। এছাড়া পে স্কেল পরাবর্তন করার ক্ষেত্রে তাকে গুনতে হয় ঘুষ। সবকিছু মিলিয়ে তালা উপজেলা শিক্ষা অফিস এখন ঘুষ বানিজ্যের স্বর্গরাজ্যে পরিনত হয়েছে। শুক্রবার তালার এইচএমএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগে প্রবেশপত্রে পরীক্ষার সময় সকাল ৯টায় থাকলেও বাধা প্রদান করে স্থানীয়া । পরে ৫০ লক্ষটাকা ঘুষ বানিজ্য ভাগাভাগির মাধ্যমে দুপুর দেড়টায় সেই নিয়োগ সম্পন্ন হয়।তবে স্থানীয়দের অভিযোগ নৈশ প্রহরী পদে আল আমিন, ল্যাব এসিস্টেন্ট পদে রিফাত, সিকিউরিটি গার্ড পদে আমিনুল ইসলাম, পরিচ্ছন্নতা কর্মী পদে মিথুনের নিয়োগ প্রদান করা হবে বলে আগে থেকেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।তালা উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক সজিব উদ্দৌলা জানান, শিক্ষাকর্মকর্তা ফিরোজ আহমেদ তালায় যোগাদান করেই ঘুষ বানিজ্যের চরমে পৌছে গেছেন। ইতিমধ্যে তিনি নিয়োগ বানিজ্যে হাতিয়ে নিয়েছেন কয়েক কোটি টাকা। ঘুষ বানিজ্য সামলাতে তার প্রতিটা নিয়োগে ডিজি প্রতিনিধি হন তালা বি দে স্কুলের দুই শিক্ষক ময়নুল ইসলাম ও সুদাংশ শেখর। এ বিষয়ে তিনি সংক্লিষ্ট কৃর্তৃপক্ষের সাথে বার বার কথা বলছেন তবে কোন লাভ হয়নি।খুব শিগ্রিই তিনি এই দূর্নীতিবাজ শিক্ষাকর্মকর্তা বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে লিখিত অভিযোগ দেবেন বলে জানান তিনি।অভিযোগ অস্বীকার করে শিক্ষাকর্মকর্তা ফিরোজ আহমেদ জানান, নিয়োগ বিধি মোতাবেক হয়। ঘুষের টাকার কথার কোন ভিত্তি নেই। টাকা নেওয়া বিদ্যালয় কমিটির বিষয়। এখানে ৫জন প্রতিনিধি থাকে আমার একা কেন ক্ষমতা নেই ।নিয়োগে প্রস্নপত্র করে স্বচ্ছতার নিয়োগ হয়।জমি ও বাড়ির বিষয়ে প্রস্ন ছুড়ে দিলে তিনি বলেন, একটা মানুষ থাকলে বাড়ি তো থাকবেই। তবে নিয়োগে কি হয় আপনারা তো বোঝেন।জেলা শিক্ষাকর্মকর্তা শাহাজান কবির জানান, নিয়োগ সংক্নান্ত বিষয়ে তার কোন কর্তৃত্ব নেই। এখানে জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি সহ নিয়োগ বোর্ডের কর্মকর্তারা জড়িত থাকে। তিনি শুধু মাত্র ডিজি প্রতিনিধি নির্বাচন করেন। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানান তিনি।
বিষয়টি নিয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ন কবিরের সাথে কথা বলার জন্য মুঠো ফোনে একাধিক বার ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি।

 

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)