আশাশুনির বৈকরঝুটি প্রাইমারী স্কুলের টিনসেড ঝড়ে বিধ্বস্ত
জি এম মুজিবুর রহমানঃ প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর তান্ডবে আশাশুনি উপজেলার ১০ নং বৈকরঝুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি ঘরের টিনসেড তছনছ হয়েগেছে। কক্ষ সংকটে স্কুলের মাঠে খোলা আকাশের নিচে ক্লাস পরিচালনা করতে বাধ্য হচ্ছে কর্তৃপক্ষ।এলাকার স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বৈকরঝুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৩৫০ জন। পড়ালেখার মানও যথেষ্ট উন্নত। নিয়মিত ক্লাস পরিচালনাসহ শিক্ষার মান উন্নয়নে পরিচালনা কমিটি ও শিক্ষকবৃন্দ নানা ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর তান্ডবে স্কুলের একটি ভবনের টিনসেড তছনছ হয়ে যাওয়ায় সেখানে ক্লাস পরিচালনা বন্ধ করে দিতে হয়েছে। ভবনটিতে ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাস বসতো। টিনসেড তছনছের পর থেকে বাধ্য হয়ে ৩য় শ্রেণির ৬১ জন ছাত্রছাত্রী ও প্রাক-প্রাথমিকের ৩০ জন ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে স্কুলের মাঠে খোলা আকাশের নিচে ক্লাস নিতে হচ্ছে। যা অতীব অমানবিক এবং বর্ষা মৌসুম আসলে ক্লাস বন্ধ হয়ে যাবে। কেননা স্কুলের মাঠ বর্ষার সময় নিমজ্জিত হয়ে যায়। তখন বর্ষা হলে যেমন ক্লাস করানো সম্ভব নয়, তেমনি নিমজ্জিত মাঠে খোলা আকাশের নিচে ক্লাসও বন্ধ হয়ে যাবে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক সাকিলা খাতুন জানান, স্কুলের পুরাতন ভবনটি নিলামে বিক্রয়ের পর ২০২০ সালে সয়েল টেস্ট করা হয়েছিল। তখন একটি নতুন ভবন অনুমোদন হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘদিনেও নতুন ভবন নির্মানের কোন লক্ষণ পরিলক্ষিত হচ্ছেনা। কবে নাগাদ নতুন ভবন হবে সেটি বলাও মুসকিল। তাই বর্ষা মৌসুমে বিদ্যালয়টির ক্লাস পরিচালনা ভেস্তে যেতে পারে। এনিয়ে শিক্ষক, পরিচালনা কমিটি, অভিভাবকরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। তাদের দাবী বিদ্যালয়ের জন্য নতুন ভবন নির্মানের কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক। সাথে সাথে দ্রুততার সাথে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের টিনসেড সংস্কারে জোর আবেদন জানানো হয়েছে।এব্যাপারে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও ক্লাস্টার অফিসার মোঃ শাহজাহান আলী জানান, টিনসেড উড়ে যাওয়ায় মেরামতের জন্য বরাদ্দ চেয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। বরাদ্দ আসলে টিনসেড সংস্কার করে পাঠদানের উপযোগি করা হবে।