কালিগঞ্জের তেতুলিয়ায় জমি জবর দখল করতে মরিয়া ভূমিদস্যু বাহিনী
নিজস্ব প্রতিনিধি : কালিগঞ্জের তেতুলিয়ায় হিমাদ্রী সরকারের পৈত্রিক ভিটায় শকুনে নজর পড়েছে জবর দখল করতে মরিয়া ভূমিদস্যু বাহিনি। আদালতের রায় ও নির্দেশনা অমান্য করে একটি সংখ্যালঘু অসহায় পরিবারের পৈত্রিক ভোগদখলীয় জমি জোর করে বিবাদমান জমিতে জবর দখলের পায়তারা চালাচ্ছে একটি প্রভাবশালী ভূমিদস্যু বাহিনী। নাড়ীপোতা পৈত্রিক ভোগদখলীয় জন্মভিটায় নিরাপত্তার সাথে বাকী জীবন কাটাতে পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি হস্তক্ষেপ কামনা করে আকুতি জানিয়েছে ভূক্তভোগী অসহায় পরিবার। কালিগঞ্জ উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের মৃত বলাই চন্দ্র সরকারের ছেলে হিমাদ্রী সরকার জানান, মৃত বৃষ্টুপদ সরকারের ছেলে আমার প্রতিবেশী সহাদেব সরকার ও তার পুত্রদয়, মৃত হরিপদ সরকারের ছেলে তমাল সরকার ও বৃন্দাবন সরকার এবং তার পুত্রদয়, মৃত ভোলানাথ সরকারের পুত্র মধু সরকার ও মঙ্গল সরকার আমাদের এলাকার ছেলে ভুপালী সরকারের তেতৃত্বে ও তার নগ্ন হস্তক্ষেপ এবং কূপ্ররোচনায় কালিগঞ্জ উপজেলার তেতুলিয়া মৌজায় এস,এ খতিয়ান ১৭৪ সাবেক দাগ ৪১১, ৪১২ বর্তমান খতিয়ান ২২২৬ বর্তমান ৩৫৩ দাগে ০৫, ৩৫৪ দাগে ১৯ শতক সর্বমোট ২৪ শতকসহ একই দাগে আরো ২৪ শতক মোট ৪৮ শতক আমার পেত্রিক জমিতে কুনজর পড়েছে প্রভাবশালী ভূমিদস্যু বাহিনীর। তাই বিভিন্ন কৌশলে জবর দখল করার চেষ্টা করছে। আমার পৈত্রিক জমি দখলের জন্য তারা নিমাই সরকারের ছেলে নেপালী সরকার ও তার ছেলে ভুপালী সরকারের প্রভাব খাটিয়ে কালিগঞ্জ এসিল্যান্ডকে দিয়ে ৩টি মিউটিশন করিয়ে নিয়েছে। আদালত আমার জমির কাগজ পত্র পর্যালোচনা করে তাদের ৩টি মিউটিশন খারিজ ও বাতিল করেছে। প্রভাবশালী ভূমিদস্যু বাহিনী সংঘবদ্ধ হয়ে মুখে ঢাভবেধে আমার বসতঘরের সামনে এসে আমাকে ঘরের বাইরে বের হতে বলে এবং আমার পরিবারকে নানা ভাবে হুমকি প্রদর্শন করছে। আমার জমিতে ঘেরা বেড়া দিয়ে দখলের চেষ্টা, আমার পুকুরের মাছ লুট, আমার জমিতে লাগানো আম গাছ ও ৫১টি ফলন্ত সুপারী গাছের গোড়া কাটাসহ আমার ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছে। এ বেপারে আমি থানায় একটি মামলা করেছি। কালিগঞ্জ সহকারি আদালত সাতক্ষীরা এর দেওয়ানী ১৩/২০২৩ নং দেওয়ানী মামলা দোতরফা শুনানী শেষে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ সাতক্ষীরা আদালতে ২৩/১১/২০২৩ তারিখে ১২নং আদেশে রদ ও রহিত করা হয় এবং মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পক্ষগণকে নালিশী জমিতে স্থিতিবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালতের রায় বিবাদীদের বিপক্ষে যাওয়ায় তারা আরো বেশী ক্ষিপ্ত হয়ে আমার পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকিসহ বিভিন্নভাবে অমানুষিক নির্যাতন করছে। ঘটনার প্রত্যক্ষ স্বাক্ষী, মোশারফ হোসেন, মো. নুরুজ্জামান ও সংকোচ ঘোষ, ভোলা কর্মকার, প্রমানন্দ সরকার জানান, প্রভাবশালী ভূমিদস্যু বাহিনী খুবই ক্ষমতাধর। তারা হিমাদ্রীসহ এলাকার অন্যান্য মানুষের জমি দখলসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়ায়। ঐ এলাকার রমেশ মালির ১৭৫/২৪ নং মামলায় আদালতে মুচলেকা দিয়েছে ভূমিদস্যু বাহিনী। জমি দখলকারী অভিযুক্ত সহাদেব সরকারের কাছে হিমাদ্রীর জমি দখলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং কথা বলতে চাননি। সংখ্যালঘুর জমি জোর করে দখল করে স্থাপনা নির্মাণ ও বিভিন্নভাবে ক্ষয়ক্ষতি করায় এলাকার সর্বস্তরে সমালোচনার ঝড় বইছে। নাড়ীপোতা পৈত্রিক ভোগদখলীয় জন্মভিটায় নিরাপত্তার সাথে বাকী জীবন কাটাতে পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি হস্তক্ষেপ কামনা করে আকুতি জানিয়েছে ভূক্তভোগী অসহায় হিমাদ্রী সরকারের পরিবার।