ভারত থেকে গম আমদানি বাংলাদেশের জন্য ব্যয় সাশ্রয়ী: খাদ্যমন্ত্রী
ডেস্ক নিউজ:
ভারত থেকে গম আমদানি সম্ভব হলে সেটা বাংলাদেশের জন্য ব্যয় সাশ্রয়ী হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
সোমবার সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সঙ্গে বৈঠকে মন্ত্রী এ কথা জানান। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে খাদ্য মজুত পরিস্থিতি সন্তোষজনক। এ বছর বোরো ধানের ফলন ভালো হয়েছে। অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ থেকে চাহিদা পূরণ হওয়ায় বাংলাদেশ বিদেশ থেকে চাল আমদানি করছে না, তবে রাশিয়া থেকে গম আমদানি করছে। ভারত থেকে গম আমদানি সম্ভব হলে সেটা আমাদের জন্য ব্যয় সাশ্রয়ী হবে।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, বাংলাদেশ সরকার পরিচালিত খাদ্য বিতরণ কর্মসূচির সুফল পাচ্ছে দরিদ্র মানুষ। টিসিবির আওতায় এক কোটি পরিবার ন্যায্যমূল্যে পাঁচ ধরনের খাদ্যসামগ্রী পাচ্ছে। ৫০ লাখ পরিবার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় বছরে পাঁচ মাস ১৫ টাকা মূল্যে ৩০ কেজি করে চাল পাচ্ছে। সরকার ওএমএসের আওতায় চাল-আটা ভর্তুকি মূল্যে বিক্রি করছে। এছাড়া বছরে দুবার প্রতি ইউনিয়নে ৭-৮ হাজার জন হতদরিদ্রকে ১০ কেজি করে চাল দিচ্ছে সরকার। এগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
প্রণয় ভার্মা বাংলাদেশের দরিদ্র মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সরকারের গৃহীত কার্যক্রমের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার জন্য এটা অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হতে পারে।
তিনি আরো বলেন, ভারত সরকার নিজস্ব নীতি বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন পণ্যে বাণিজ্যে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে থাকে; তবে সেটা বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য নয়।
ভারত বাংলাদেশকে সাহায্য করতে চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ বছর আবহাওয়া অনুকূল থাকায় ভারতে ফসল উৎপাদন ভালো হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে ভারত বাংলাদেশের প্রয়োজন মোতাবেক পণ্য রফতানি করতে পারবে।
এ সময় তিনি বাংলাদেশে গম রপ্তানিতে ভারত সরকারের আগ্রহের কথা জানান।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন ও খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন।