উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, শেষ মূহুর্তের নির্বাচনীয় সমীক্ষায় প্রার্থীদের অবস্থান
খুলনা প্রতিনিধি:
আসন্ন পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে মনোয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে নির্বাচন থেকে সরে দাড়ালেন সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবাল মন্টু। ব্যক্তি গত কারনে তিনি শারিরিক অসুস্হ্যতা ও স্বাস্হ্য অসমর্থতার কারন দেখিয়ে এ নির্বাচন থেকে সরে দাড়ান বলে জানিয়েছেন।
৭জন প্রাথীর মধ্যে একজন নির্বাচন থেকে সরে যাওয়াতে বাকী প্রাথীদেরদের ঘিরে নির্বাচনীয় সমীক্ষা জনগনের মাঝে নতূন করে আলোড়িত করেছে।
কে হবেন আগামী দিনের সম্ভাব্য উপজেলা পরিষদের নতূন চেয়ারম্যান।
পাইকগাছা উপজেলা আওয়ামী লূীগের সেক্রেটারি ও সাবেক জেলা পরিষদের সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্বার সন্তান শেখ কামররূল হাসান টিপু উপজেলা পরিষদ নির্রাচনে সকল ইউনিয়নের নেতাকর্মী ও সাধারন মানুষের সাথে ইতিমধ্যেই গন সংযোগ করেছেন।তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান এবং তার রাজনৈতিক ও পারিবারিক ঐতিহ্য সকল প্রাথীদের থেকে আলাদা মর্যাদা বহন করে। ইতিমধ্যেই তিনি প্রচার ও পরিষরে একটা ভাল অবস্হানে আছেন। তার নির্বাচনীয় প্রতিক মোটর সাইকেল।
এ্যডভোকেট শেখ আবুল কালাম আযাদ ছাত্র জীবন থেকে সক্রিয় ভাবে রাজনীতির সাথে জড়িত থেকে ধীরে ধীরে তার সাফল্যের পথে এগিয়ে গেছেন।সাবেক পাইকগাছা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন।বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি বেশ একটা শক্ত অবস্হানে থেকেও পরাজয় বরন করেছিলেন। এবারের নির্বাচনে তার অবস্হান আশাব্যন্জক।তার নির্বাচনীয় প্রতিক দোয়াত কলম।
এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নতূন মূখ ছাত্র রাজনীতির সাবেক ছাত্র নেতা আনন্দ মোহন বিশ্বাস।বিরাট একটা অংশের প্রতিনিধি হিসেব ইতিমধ্যেই সাধারণ ভোটারদের আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে গন্য হয়েছেন। উপজেলার শিল্প নগরী হিসেবে খ্যাত কপিলমূনী বানিজ্য নগরী থেকে তিনি একক ভাবে দাড়িয়েছেন।হিন্দু সম্পরদায়ের নেতাকর্মী গন ও সাধারন ভোটার তাকে সমর্থন দিলে তিনি বিজয়ী হতে পারেন বলে অনেকেই ধারনা করছেন।তার নির্বাচনীয় প্রতিক বাগদা চিংড়ী মাছ।
কৃষপদ মন্ডল বামপন্থী রাজনীতি থেকে উঠে আসা একজন নেতা বর্তমানে আওয়ামিলীগ রাজনীতি সাথে যুক্ত।তিনি বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন।তবে তার বিগত দিনের বাম পন্হির সাংগঠনিক তংপরতা কারনে তিনি ভাইচ চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। এবারে তার অবস্হান ভোটারদের মাঝে তেমন কোন প্রভাব ফেলবে কি স্পষ্টভাবে সাধারন জনগনের মাঝে তেমন কোন পতিক্রিয়া সৃষ্টি করেনি।তার নির্বাচনীয় প্রতিক আনারস।
শিবলী নোমানী রানা। বঙবন্ধু পার্লামেন্টের কনিষ্ঠতম সাবেক এম পি ও সাবেক দুইবার উপজেলা চেয়ারম্যান স,ম বাবর আলীর পুত্র। রাজনীতিতে তেমন কোন পরিচিত নেই।বাবার পরিচয়ে পরিচিত হবেন এবং তার বাবার রাজনৈতিক ক্যরিয়ার কাজে লাগিয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নির্বাচন করতে এসেছেন। বিরোধী দলীয় রাজনৈতিক দল অংশনগ্রহন করছেন না। তবে স,ম,বাবর আলী সাহেব বি এন পির একজন নেতৃস্হানীয় নেতা তার জনপ্রিয়তা কাজে লাগিয়ে তার পুত্র শিবলী নোমানী রানা ভোটারদের আস্হা কূড়াতে পারেন বলে একটি অংশের সাধারন ভোটারগন জানিয়েছেন। তার নির্বাচনী প্রতীক কাপ পিরিচ।
আছাদূল বিশ্বাস নামে একজন প্রাথী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নির্বাচন করছেন।তার সন্মন্ধে তেমন কোন উল্লেখ যোগ্য় তথ্য পাওয়া যাইনি।
নির্বাচনের মাঠে এই ছিলো প্রাথীদের সর্বশেষ তথ্য ও নির্বাচনীয় অবস্হান।