অতিরিক্ত ঘুমে হবে নানা ক্ষতি
লাইফস্টাইল ডেস্ক:
ঘুমকাতুরে স্বভাব আছে অনেকেরই। ‘একটু সুযোগ মিলল’ এমন সময়ে ঘুম এড়ানোটা কষ্টকর। বিছানায় একটু আরাম করে শুলেন – আবহাওয়াও চনমনে। ব্যাস বেশ একটু ঘুম। বয়োজ্যেষ্ঠরা অবশ্য বলেন, বেশি ঘুম ভালো নয়। কথাটা কিন্তু ভুল নয়।
মূলত একজন প্রাপ্তবয়স্কের দিনে ৮-৯ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। মস্তিষ্ক এতে খুব একটা ক্লান্ত হয় না। দিনে চার ঘণ্টা ঘুমোতে পারলেও আপনি সুস্থ থাকবেন। তবে ৮-৯ ঘণ্টাই আদর্শ।
চব্বিশ ঘণ্টায় ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এর বেশি কিংবা কম ঘুম বিপদের কারণ হতে পারে। যারা দিনে ৯ ঘণ্টার বেশি ঘুমান তাদের ক্ষেত্রে স্ট্রোকের ঝুঁকি ২৩ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে, এমনটাই বলছেন তারা।
ডায়াবেটিসের ভয়
কোনো দিন খুব বেশি ঘুম আবার কোনো দিন খুব কম ঘুম ডায়াবেটিসের মতো অসুখের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। যে কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে ঘুম নিয়মিত হওয়া উচিত।
হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে
অতিরিক্ত ঘুমের কারণে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। তাই যারা বেশি ঘুমান তাদের শরীরে চর্বি জমতে থাকে। ফলে বাড়তে থাকে হৃদরোগের আশঙ্কাও। এ বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি। হৃদরোগের মতো সমস্যা থেকে বাঁচতে ঘুমের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে।
ডিপ্রেশন দেখা দিতে পারে
ঘুম কম হলে বাড়ে ডিপ্রেশন বা অবসাদ। আবার একই কারণে বাড়তে পারে ঘুমের পরিমাণও। অতিরিক্ত ঘুমের কারণেও দেখা দিতে পারে বিষণ্ণতা। আপনার চনমনে ভাব কেড়ে নিয়ে নিষ্প্রভ করে দেবে অতিরিক্ত ঘুম। তাই নিজেকে সুস্থ ও সতেজ রাখার জন্য পরিমিত ঘুমের বিকল্প নেই।
কোমর ব্যথা হতে পারে
একটানা দীর্ঘ সময় ঘুমালে দেখা দিতে পারে কোমর ব্যথা। আবার ঘুমের সময় পজিশন ঠিক না থাকলে ভয়ানক পেশি ব্যথা দেখা দিতে পারে। তাই ঘুমাতে ভালোলাগে বলেই অতিরিক্ত ঘুমাবেন না। নিজের সুস্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে আপনাকেই।
মাইগ্রেন
আপনি কি মাঝে মাঝেই মাইগ্রেনের মতো সমস্যায় ভোগেন? হতে পারে তা অতিরিক্ত ঘুমের কারণেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ঘুমালে তা মাইগ্রেনের কারণ হতে পারে। তাই ঘুমের ক্ষেত্রে রুটিন মেনে চলুন। নিয়মমাফিক ঘুমালে অনেক অসুখ থেকেই দূরে থাকা সম্ভব হবে।