দ্বিতীয় টেস্টে ১৯২ রানে হার হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
স্পোর্টস ডেস্ক:শ্রীলংকার বিপক্ষে হার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল চতুর্থ দিন শেষেই। ম্যাচ জিততে পঞ্চম তথা শেষদিনে বাংলাদেশের জিততে চাইলে অলৌকিক কিছু করতে হতো। তবে তা কেউ পারেননি। ফলে হার নিয়েই মাঠ ছেড়েছে টাইগাররা।দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে স্রীলংকার কাছে ১৯২ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। শ্রীলংকা প্রথম ইনিংসে ৫৩১ রান করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ছয় উইকেটে ১৫৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করে। জবাবে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল যথাক্রমে ১৭৮ ও ৩১৮।এই হারে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ২-০ ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। একইসঙ্গে হোটাইটওয়াশ হয়েছে টাইগাররা। এর আগে টি-২০ সিরিজে শ্রীলংকা ২-১ এবং ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশ ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল।সাত উইকেটে ২৬৮ রান নিয়ে পঞ্চম দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। আগের দিনের ১০ রানের সঙ্গে এদিন মোটে ৪ রান যোগ করেন তাইজুল ইসলাম। কামিন্দু মেন্ডিসের বলে গালিতে দারুণ এক ক্যাচ নিয়ে তাকে ফেরান নিশান মাদুশকা।এর আগেই অবশ্য টেস্ট ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ফিফটি পেয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। অষ্টম উইকেটে ৩৮ রান যোগ করে মিরাজ-তাইজুল জুটি। হাসান মাহমুদ এরপর ভালোই খেলেছেন। ২৫ বলে করেছেন ৬ রান।হাসানকে নিয়ে দলের স্কোর ৩০০ পার করেছেন মিরাজ। সিরিজে এটাই বাংলাদেশের প্রথম ৩০০ রান করা। এমনকি নিজেদের টেস্ট ইতিহাসেই এই নিয়ে পঞ্চমবার চতুর্থ ইনিংসে ৩০০ করেছে বাংলাদেশ।হাসান মাহমুদ আউট হয়েছেন লাহিরু কুমারার বাউন্সারে। নিজেকে ডিফেন্ড করতে গিয়ে ব্যাটে বল লাগিয়েছেন। সিলি মিড অনে দাঁড়ানো নিশান মাদুশকা ক্যাচ নিতে ভুল করেননি। শেষ উইকেটও নিয়েছেন লাহিরু কুমারাই।খালেদকে বোল্ড করে দলের জয় নিশ্চিত করেন কুমারা। লংকানদের পক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট নিয়েছেন এই পেসার। তিন উইকেট গিয়েছে কামিন্দু মেন্ডিসের ঝুলিতে। এর আগে ৫১১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে গতকাল চতুর্থ দিনে প্রথমবারের মতো চলতি সিরিজে ২০০ রান পার করেছিল বাংলাদেশ। মুমিনুল হকের ৫০ রানের পাশাপাশি সাকিব আল হাসানের ৩৬, লিটন দাসের ৩৮ রান বাংলাদেশকে দিয়েছিল বলার মতো স্কোর।শেষ বিকেলে মিরাজের ৪৪ রান চট্টগ্রাম টেস্টকে টেনে নিয়েছিল ৫ম দিন পর্যন্ত। চট্টগ্রামের ফ্ল্যাট উইকেটে আগে ব্যাট করে রানের বিশাল পাহাড় দাঁড় করায় শ্রীলংকা। ৬ অর্ধশতকের সুবাদে তাদের সংগ্রহ ছিল ৫৩১ রানের।কোনো সেঞ্চুরি ছাড়া এটাই দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। এরপর বাংলাদেশ যথারীতি দেখিয়েছে নিজেদের হতশ্রী ব্যাটিংয়ের নমুনা। ১৭৮ রানেই গুটিয়ে যায় নাজমুল হোসেন শান্তর দল। দলের পক্ষে ত্রিশোর্ধ্ব ইনিংস খেলেছেন মোটে দুইজন। ফলো-অন না করিয়ে নিজেরাই ব্যাট করতে নামে শ্রীলংকা। তৃতীয় দিনের শেষ বিকেলে বাংলাদেশকে ক্ষণিকের স্বস্তি দিয়েছিলেন হাসান মাহমুদ। অভিষিক্ত এই বোলার ৪ উইকেট শিকার করেন।
চতুর্থ দিন ডিক্লেয়ার করার আগপর্যন্ত নিজেদের লিড ঠিকই ৫১০ পর্যন্ত টেনে নেয় লংকান ব্যাটাররা। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫৭ রানে নিজেদের ইনিংস ঘোষণা করলে বাংলাদেশের সামনে টার্গেট দাঁড়ায় ৫১১। রানতাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ গিয়েছে ৩১৮ পর্যন্ত।