তালার মাগুরা প্রগতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভূয়া দাতা সদস্য হওয়ার অভিযোগ
শাহিন আলম: তালা উপজেলার মাগুরা প্রগতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভূয়া জাল দলিল সৃষ্টি করে দাতা সদস্য হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মাগুরা ইউনিয়ান পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ময়নুল ইসলাম জনগনের পক্ষে গত ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ইং তারিখে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছে।
অভিযোগ টি সুষ্ট তদন্তের জন্য মাননীয় জেলা প্রশাসক মহাদয় সহকারী কমিশনার নুসরাত জাহান কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ধুরন্ধর সন্তোষ মন্ডল সহ কিছু সদস্য কে ম্যানেজ করে গত ২৫/৭/২২ ইং তারিখে দেবোত্তর সম্পত্তি এস এ খতিয়ান জাল জালিয়াতি করিয়া (১) দিলিপ কুমার বসু (২) দূর্গাপদ মন্ডল মিলে জালিয়াতি রেকড সৃষ্টি করিয়া অত্র বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য হয়। যাহা রেকডপত্র অনুযায়ী দেখা গেছে নিন্ম তপশিল সম্পত্তি জেলা – সাতক্ষীরা উপজেলা তালার অন্ত্রগত মৌজা মাগুরা জে এল নং ৭১ এস এ খতিয়ান ১২৫৫ দাগ নং ১৩১৪ জমির পরিমান ৪৭ শতক শ্রেনী ডাঙ্গা ।
কিন্তু বর্তমান জরিপে বি আর এস খতিয়ান নং – ৫ দাগ নং – ২৩১৬/৫৭১৭/৫৮৩৪ জমির পরিমান ৭২ শতক যাহার শ্রেনী খেলার মাঠ স্কুল লেখা আছে।
কিন্তু বর্তমানে অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ধুরন্ধর সন্তোষ মন্ডল সহ উক্ত ব্যক্তিদ্বয় বি আর এস খতিয়ান সম্পূর্ন জাল জালিয়াতি করিয়াছে বলে মাগুরা বাজার সহ বিভিন্ন চায়ের ষ্টলে চলছে জোর আলোচনা সমালোচনা। যাহা দেখা গেছে এস এ রেকড অনুযায়ী দেবোত্তর সম্পত্তি হইতেছে।
এ দিকে বর্তমান বি আর এস খতিয়ানে দেবোত্তর সম্পত্তি বলিয়া গন্য হয় নাই। বিষয়টি অত্র বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী ও অবিভাবক সহ এলাকার লোকজন এস এ রেকড ও বি ার এস রেকড তুলিয়া দেখা যায় যে অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সন্তোষ মন্ডল সহ কিছু স্বার্থনেষী মহলের ইন্দনে ভূয়া রেকড ও কাগজপত্র সৃষ্টি করিয়া অত্র বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য সহ বিদ্যালয়ের রাম রাজত্ব কায়েম সহ নিয়োগ বানিজ্য করিয়া আসিতেছে। সরজমিন মাগুরা এলাকা ঘুরে জানা গেছে এর পূর্বে ও অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সন্তোষ মন্ডলের বিরুদ্ধে অত্র বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি দূনির্তি দমন কমিশনে করে। উক্ত অভিযোগে দূনির্তীবাজ প্রধান শিক্ষক সন্তোষ মন্ডল ক্ষান্ত হয়নি এর পর ও তিনি দূনির্তী ও একাধিক অপকর্ম করে নিয়োগ বানিজ্য করে বহাল তবিয়তে আছে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সন্তোষ মন্ডলের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান আমি অফিসিয়াল ভাবে কোন চিঠি পায়নি।