জামাই আফ্রিদি পাকিস্তানের অধিনায়কত্ব হারালেন, খেপলেন শ্বশুর আফ্রিদি
স্পোর্টস ডেস্ক:
ওয়ানডে বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) মনে হয়েছিল, এ দলের সবকিছুই পাল্টে ফেলতে হবে! ব্যস, যেমন ভাবনা তেমন কাজ! বাবর আজমকে অধিনায়কত্ব থেকে সরানো হলো, বিদেশি কোচদের দিয়ে কিছু হচ্ছে না ভেবে সব বিদেশি কোচ বাদ দিয়ে দিল, দেশি কোচের দিকে ঝোঁকার পরিকল্পনা নিল পিসিবি।
কিন্তু এর মধ্যে পিসিবিরই নেতৃত্বে বদল এল, নতুন নেতৃত্ব এসে আবার অদলবদল করে ফেলল। বিদেশি কোচের খোঁজ চলছে, এর মধ্যে হাতের কাছে যা আছে সেই অধিনায়কত্বে আবার বদল এনে ফেলল। বিশ্বকাপের পর বাবর আজমের বদলে সাদা বলের ক্রিকেটে শাহিন শাহ আফ্রিদি আর লাল বলে শান মাসুদকে অধিনায়ক করা হয়েছিল, নতুন বোর্ড এসে আজ আবার সাদা বলের ক্রিকেটে অধিনায়ক বদল দিল।
বদল বলতে আবার পুরোনো জায়গায় ফেরা আর কী! শাহিনকে বদলে আবার বাবরকে ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক করেছে পিসিবি। কিন্তু এতে খেপেছেন পাকিস্তানের সাবেক অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি। অধিনায়কত্বে বদলের গুঞ্জন শুরু হওয়ার পর থেকেই তো এ বদল আনাটা ঠিক হবে না বলে নিজের মত জানিয়ে এসেছেন শহীদ আফ্রিদি, আজ বদলটা হয়ে যাওয়ার পরও নিজের অসন্তোষ জানাতে ভোলেননি।
তা সাবেক অলরাউন্ডারের বাইরেও পাকিস্তানের অধিনায়কত্বে এই বদলের সঙ্গে শহীদ আফ্রিদির আরেকটা সংযোগ খুঁজে নিতে পারেন। যিনি অধিনায়কত্ব হারালেন, সেই শাহীন আফ্রিদি যে শহীদ আফ্রিদির জামাতা!
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) নিজের অসন্তোষ জানিয়ে পোস্টে ‘শ্বশুর’ আফ্রিদি লিখেছেন, ‘নির্বাচক কমিটিতে অভিজ্ঞ অনেক ক্রিকেটার যে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এতে খুবই অবাক হয়েছি।’
এতদিন অধিনায়কত্বে বদল আনার বিপক্ষেই ছিলেন, আজ অধিনায়কত্বে বদল আসার পর শহীদ আফ্রিদি এক্স-এ তাঁর পোস্টে বোঝালেন, বদলটা ঠিক হয়নি। কী হলে ভালো হতো? আফ্রিদির পোস্টেই তা লেখা, ‘আমি এখনো বিশ্বাস করি, বদল আনাটা যদি খুব দরকারীই হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে রিজওয়ান হতে পারত সেরা পছন্দ।’
সেটা হয়নি, তাঁর জামাতারও অধিনায়কত্বটা গেছে। এখন শহীদ আফ্রিদি আর কী-ইবা করতে পারেন! এক্স পোস্টের শেষ টেনেছেন এই লিখে যে, ‘এখন যেহেতু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েই গেছে, আমি শুধু পাকিস্তান দল আর বাবর আজমের প্রতি নিজের পূর্ণ সমর্থনই জানাতে পারি।’
এদিকে শাহীন আফ্রিদি ‘নতুন’ অধিনায়কের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন পিসিবির পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে। সেখানে শাহীনকে উদ্ধৃত করে লেখা, ‘অধিনায়ক হিসেবে যা-ই সুযোগ পেয়েছি, যত স্মৃতি জমেছে, সেগুলো মনে গেঁথে থাকবে। দলের একজন খেলোয়াড় হিসেবে আমার দায়িত্ব নতুন অধিনায়ক – বাবর আজমকে সমর্থন জানানো। ওর অধিনায়কত্বে আমি আগেও খেলেছি, ওর জন্য আমার সম্মানে কোনো খামতি নেই। মাঠে ও মাঠের বাইরে ওকে সাহায্য করার চেষ্টা করে যাব। আমরা তো সবাই-ই এক! আমাদের লক্ষ্য একই – পাকিস্তানকে বিশ্বের সেরা দল বানানো।’