গাজায় নিহতের সংখ্যা বাড়ছেই
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
গাজার ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বাড়ছেই। আল-শিফা হাসপাতাল থেকে রোগীদের সরিয়ে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
সংস্থাটি জানিয়েছে, গত ১৮ মার্চ ওই হাসপাতালে ইসরায়েলের অভিযান শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ২১ জন রোগী নিহত হয়েছেন।
এছাড়া গাজার আল-আকসা হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ইসরায়েলি বিমান হামলায় বিবিসির এক ফ্রিল্যান্সারসহ সাত সাংবাদিক আহত হয়েছেন। সেই সাথে ইসলামিক জিহাদ (আইজে) জঙ্গি গোষ্ঠীর চার সদস্য নিহত হয়েছে। রোববার হতাহতের এ ঘটনা ঘটে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, দেইর আল-বালাহর আল-আকসা হাসপাতাল চত্বরে আইজের কমান্ড সেন্টারে হামলা চালিয়েছে তারা। তাদের অভিযোগ জঙ্গিরা ওই হাসপাতালকে ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে।
হামাস এবং চিকিৎসা কর্মীরা ইসরায়েলের এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। হামাসের মিত্র ইসলামিক জিহাদ কোনো মন্তব্য করেনি।
কেন্দ্রীয় গাজা উপত্যকায় কাজ করা শেষ হাসপাতাল আল-আকসা। হাসপাতাল চত্বরে অস্থায়ী তাঁবুতে আশ্রয় নেয়া শতাধিক মানুষের মধ্যে সাংবাদিকরাও রয়েছেন। এসব সাংবাদিকদের বেশিরভাগই উত্তর গাজার বাসিন্দা। তারা সামান্য খাবার, পানি ও বিদ্যুৎ সংকট এবং ইসরায়েলি হামলার হুমকিসহ অত্যন্ত কঠিন অবস্থার মধ্যে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
হামলায় বিধ্বস্ত সবচেয়ে কাছের তাঁবুটি তুর্কি সংবাদ সংস্থা আনাদোলুর। আলী হামাদ নামের একজন ফটোগ্রাফার জানিয়েছেন, কোনো রকম পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই তাঁবুতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
বিবিসির ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফার সাইদ জারাস বলেছেন, আমরা নিরস্ত্র সাংবাদিক এবং আমাদের কিছুই করার নেই।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আডানম গেব্রিয়াসিস হাসপাতালে হামলা বন্ধ এবং রোগী, স্বাস্থ্যকর্মী এবং মানবিক মিশনের সুরক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন।
রোববার হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৭৭ জন নিহত হয়েছে। খান ইউনিস শহরের কাছে বনি সুহাইলায় ইসরায়েলি হামলায় আরও নয়জন মারা গেছে।