পুলিশ পরিচয়ে একাধিক মেয়ের গোপন ভিডিও ধারণ, অতঃপর…
ডেস্ক নিউজ:
কখনো বিসিএস ক্যাডার, কখনো এনএসআই আবার কখনো পুলিশ পরিচয়ে অর্ধশতাধিক তরুণীর সঙ্গে গড়েন প্রেমের সম্পর্ক। এরপর অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ভিডিও ধারণ করে হাতিয়ে নিতেন স্বর্ণালঙ্কারসহ বিপুল অর্থ। খুলনায় এমন এক ভুয়া এনএসআই কর্মকর্তাকে আটক করেছে পুলিশ। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে খুলনা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় কেএমপি সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার সর্দার রকিবুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘৬ মাস আগে বিপ্লব বড়ালের সঙ্গে খুলনার এক তরুণীর ফেসবুকে পরিচয় হয় এবং পরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিপ্লব তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নগরীর বিভিন্ন স্থানে দেখা করে। সে নিজেকে জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা (এনএসআই) এর কর্মকর্তা পরিচয় দেয় এবং এনএসআই এর কার্ড প্রদর্শন করে বর্তমানে খুলনায় কর্মরত আছে বলে জানায়।’
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে তার কাছে আর্থিক সাহায্য চায় বিপ্লব। তার প্ররোচনায় গত ২০ অক্টোবর দুপুরে ওই তরুণী নগরীর হেলাতলা স্বর্ণপট্টি এলাকায় তার সঙ্গে দেখা করে তাকে নগদ ১ লাখ টাকা ও ৫ ভরি স্বর্ণালংকার দেয়। পরে বিয়ের কথা বললে অস্বীকৃতি জানায় এবং হুমকি দেয়। এ অবস্থায় ওই তরুণী বিভিন্ন স্থানে খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারে যে, বিপ্লব এনএসআই এর কোনো কর্মকর্তা নয়, সে একজন প্রতারক। এরপর ভুক্তভোগী তরুণী বাদি হয়ে সম্প্রতি খুলনা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, বিপ্লব এনএসআই এর ভুয়া কার্ড দেখিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে বিভিন্ন সময় সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে চাকরি দেওয়ার কথা বলে সু-কৌশলে অর্থ আত্মসাৎ করেছে। বিপ্লব জয়ন্ত ফকির নামে একজনের কাছ থেকে নগদ ৭ লাখ ৪১ হাজার টাকা ও দেবাশীষ রায়ের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছে।
জানা গেছে, বিপ্লব অবিবাহিত, তার রাজনৈতিক কোনো পরিচয় নেই। তার বাবা দিনমজুর এবং তার পরিবার একটি কুঁড়েঘরে বসবাস করে। তার বিরুদ্ধে ২ টি মামলা রয়েছে। তার বড় ভাই মনা বড়াল পেশাদার ডাকাত এবং তার নামে কাঁঠালিয়া থানাসহ বিভিন্ন থানায় ৪টি মামলা রয়েছে।
গ্রেফতার বিপ্লব বড়াল ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া উপজেলার ছোনাওঠা গ্রামের দিরেন বড়ালের ছেলে। এরই মধ্যে তাকে আদালতের মাধ্যমে খুলনা কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার সর্দার রকিবুল ইসলাম।