তালায় রেনওয়াটার প্রকল্পে হরিলুট
তালা প্রতিনিধিঃ তালা উপজেলায় (রেনওয়াটার হারডেস্টিং প্রকল্পে ( আর ডব্লিউ, এইচ ) অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে গ্রাহক প্রতি বরাদ্ধ ৫০হাজার টাকা থাকলেও নিম্মমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ শেষ হচ্ছে মাত্র ২৫-৩০হাজার টাকায়। খোদ পাবলিক হেল্থের নির্বাহী প্রকৌশলী কৈশিক রায়ের মদদে ও পাবলিক হেল্থের ম্যাকানিক (ডি পি এইচ ই) শেখ রেজাউল করিম সহযোগিতায় মেসার্স কামাল এন্টার প্রাইজ নামে এক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান হাতিয়ে নিচ্ছে কয়েক কোটি টাকা। এই টাকার বড় একটা অংশ যাচ্ছে প্রকৌশলীর পকেটে বলে এমন ও অভিযোগ স্থানীয়দের
অনুসন্ধানে গেলে, বালিয়দাহ গ্রামের ইসরাফিল শেখ নাসির, গোলদার মাদরা গ্রামের শিক্ষক অমরকৃষ্ণ, খলিশ খালী ইউনিয়নের শুকতিয়া গ্রামের হরসিত মন্ডল সহ অনেকে জানান, সরকারী কোশাগারে ১৫০০টাকা জমা নেওয়ার পরে ৩৫০ টি ইট দেওয়ার কথা থাকলে নিম্নমানের ২৯০ টি আরো নিম্ম মানের খোয়া দিয়ে যেন তেন ভাবে কাজ শেষ করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে তারা আপত্তি জানালেও তারা কোন কর্নপাত করেনি।
নাম না জানানোর শর্তে ওই প্রতিষ্ঠানের সাবেক এক সাব ঠিকাদার জানান, বর্তমানে মানে তালা উপজেলার, খেরশা মাগুরা, জালালপুর খলিষখালী খলিল নগরে প্রকল্পটির ২৩২০টি কাজ চলমান রয়েছে। এতে মোট বরাদ্ধ রয়েছে ১১কোটি ৬০লক্ষটাকার বেশি। গ্রাহক প্রতি ৫০হাজার টাকা বরাদ্ধ রয়েছে। প্রকল্পটিতে সর্বোচ্চ মানের ৩৫০টি ইট ৫ খোয়া ২০ফুট বালি দেওয়া কথা রয়েছে। কিন্ত তারা নিস্মমানের ইট বালি ও খোয়া ব্যাবহার করে মাত্র ২৫হাজার টাকায় কাজ শেষ করছে। আর এই টাকার ভাগবটোয়ারা হচ্ছে সংক্লিষ্ট কর্মকর্তা ও ঠিকাদার দের মধ্যে। ইতিমধ্যে তিনি বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করলেও এখনও কোন প্রতিকার পাননি বলে জানান তিনি।
বিষয়টি নিয়ে কামাল এন্টারপ্রাইজের সাব ঠিকাদার আলমগীর হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন,আমাদের প্রকল্পের কোন ইট খারাপ হলে সেটা পরিবর্তন করা হবে। প্রকল্পের মান নিয়ে প্রস্ন তুললে তিনি বলেন, তবে সব জায়গায় ভালমানের ইট দেওয়া হচ্ছে যদিও ভুল ক্রমে নিম্নমানে সামগ্রী দেওয়া হলেও সেটা দেখছি কি করা যায়।
তালা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী কৈশিক রায় বলেন, প্রকল্পে কোন অনিময় হলে সেটা খতিয়ে দেখচ্ছি।কোথাও কোন নিম্নমানের সামগ্রী থাকলে সেটি পরিবর্তন করা হবে।
তালা উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ( সহকারী ভুমি কমিশনার) আরাফাত হোসেন বলেন, বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।