জে এম পি আলতাফ মোল্লা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে পদপ্রার্থী!

রিপন বিশ্বাস,নড়াইল:

নড়াইল জেলার কালিয়া থানার ১১নং পেড়লী ইউনিয়নের জামরিলডাঙ্গা গ্রামের মৃত হাবিবার রহমান মোল্লার জেষ্ঠ্য পুত্র এম,এম হুসাইন ইসলাম উজ্জ্বল। তিনি জামরিল ডাঙ্গা বাজারের জে এম পি আলতাফ মোল্লা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে পদপ্রাথী হিসাবে সকলের নিকট দোয়া প্রার্থনা করেছেন। এই বিদ্যালয়ে অভিভাবক সদস্য নির্বাচন আগামী ২রা মার্চ”২০২৪। তিনি এই স্কুলের একজন মেধাবী প্রক্তন ছাত্র।

তিনি এই স্কুলের জন্য অনেক ত্যাগ ও অবদান রেখেছেন বলে জানা যায়।

ত্যাগ:

এই স্কুলের শিক্ষকেরা বারবার চেষ্টা করেও ছাত্র ছাত্রীদের সংকটের কারণে নবম শ্রেণি যখন খুলতে পারতেছিলেন না সালটি ১৯৯৮। এই ব্যক্তি তখন খড়রিয়া এজিএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৩ দিন ক্লাসও করেছিলেন বলে জানা যায়। এমতাবস্থায় জে এম পি আলতাফ মোল্লা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তৎকালীন সহকারী প্রধান শিক্ষক শহিদূর রহমানসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক তাঁর পিতার হাত ধরে বলে ছিলেন,আপনার ছেলেটা অনেক মেধাবী।ছোট কাল থেকেই উজ্জ্বল নেতৃত্ব দেয়। উজ্জ্বল যদি এবার আমাদের স্কুলে থাকে তাহলে ৩০/৪০ জন ছাত্র ছাত্রী থাকবে। আমরা নবম শ্রেণি খুলতে পারবো এবং এমপিও ভুক্ত হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবো। তখন উজ্জ্বলের পিতা উজ্জ্বলের দিকে তাকায়। উজ্জ্বল ভবিষ্যতের চিন্তা বাদ দিয়ে মাতৃভূমির প্রতি দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজ গ্রামের স্কুলের উন্নতির জন্য তিনি তাঁর পিতাকে মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বলতে বলেন । উজ্জ্বল প্রথম শ্রেণি থেকেই শুধু ক্লাসেই প্রথম হতো না। তিনি সারা স্কুলেই প্রথম হতো । কিন্তু নবম শ্রেণিতে গ্রুপিং শিক্ষকের অভাবে, এস,এস,সি টেস্ট পরীক্ষায় হিসাব বিজ্ঞানে পাশ করতে পারলো না। অথচ অন্যান্য বিষয়ে ৯০ এর উপরে নম্বর পেলো। শুধু গ্রুপিং বিষয়ে কম নম্বর পেলো। হিসাব বিজ্ঞানে ৩৩শে পাশ করানো হলো। এস,এস,সি পরীক্ষায় ৬/৭ টা সাবজেক্টে ৯০,৭৯,৭৮,৭৭,৭৬ পেলেও গ্রুপিং সাবজেক্টে তিনি ভাল করতে পারলেন না। তাই স্টান পাওয়া স্টুডেন্ট হয়েও তিনি স্টারও পেলো না। অথচ তার থেকে প্রতি ক্লাসে কমপক্ষে ৫০/১০০ নম্বর কম পাওয়া শিক্ষার্থীরাও পিরোলী ও খড়রিয়া স্কুল থেকে ভাল রেজাল্ট করলো। যার স্বাক্ষী বর্তমান সহকারী প্রধান শিক্ষক: মামুনুর রশীদ, সহকারী শিক্ষক: মো: আনোয়ার হোসেন, মো: মোকাদ্দেস হোসেন, মোঃ মশিউর রহমান।

অবদান:

তবু তিনি থেমে থাকেন নি। নিজেকে গড়ে তোলার জন্য অদম্য সাহস নিয়ে এগিয়েছেন।হোঁচট খেয়েছেন বারবার। অত্যন্ত মেধাবী হিসেবে যে পর্যায়ে থাকার কথা সেটা হয়নি।পরবর্তীতে ২০০৯ সাল থেকে কর্মজীবনে সাফল্য আসতে শুরু করলে তিনি এই স্কুলের টানে বারবার ছুটে গেছে। বিল্ডিং হওয়ার আগে যখন টিনের চাল ছিলো তখন ছাত্র ছাত্রীদের কষ্টের কথা ভেবে তিনি প্রতিটি ক্লাসে ১ টি করে ফ্যানের ব্যবস্থা করেছেন। বাৎসরিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানে স্যার, ম্যানেজিং কমিটি ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ দেরকে আপ্যায়নসহ বিভিন্ন ভাবে স্কুলের সাথে ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে থেকেছে দীর্ঘসময় ধরে।গরীব,অসহায় ও মেধাবী শিক্ষার্থীদেরকে গোপনে সাহায্য করে গেছেন এবং এখনো করছেন।

স্বচ্ছ আওয়ামী লীগার :

জন্মলগ্ন থেকে আওয়ামী লীগকে পছন্দ করে বলে তিনি ছাত্র জীবনেও জামরীল ডাংগায় আওয়ামী লীগের জন্য কাজ করেছেন এবং সংকটময় মুহূর্তে গর্জে উঠেছেন । ২০০১ সালে নড়াইল সরকারী ভিক্টোরিয়া কলেজে অধ্যায়নরত অবস্থায় ছাত্রলীগের সাথে সরাসরি মাঠে ময়দানে কাজ করেছেন। বর্তমান জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জি,এস, পলাশসহ অনেকে তার স্বাক্ষী। ২০০৯ সাল থেকে তাঁর কর্মজীবনে সাফল্য আসতে শুরু করলে তিনি গ্রামের বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় কাজে সাহায্য সহযোগিতা করে গেছেন এবং এখনো করছেন।তাঁর অনেক অর্থ নেই কিন্ত অনেক বড় মন আছে। তিনি দলের জন্য নিবেদিত একজন ভাল মানুষ হিসেবে এলাকায় বহুল আলোচিত। গ্রামে এসে মানুষের সাথে চা-কফির আড্ডায় ব্যয় করে হাজার হাজার টাকা।কেউ বলতে পারবে না যে, উজ্জ্বল কোন অন্যায় কাজের সাথে যুক্ত আছেন।অন্যায় করতে কাউকে উদ্বুদ্ধ করেছেন। কারো কোন ক্ষতি করেছেন । হাজার হাজার টাকা ব্যয় করলেও কোনদিন ১ টি টাকা কোন দোকান্দারের নিকট থেকে বাকী খেয়েছে এমন রেকর্ডও নেই। তিনি বা তাঁর পূর্ব পুরুষেরা কারো জমি দখল করার নেশায় মেতে ওঠেননি । তিনি বা তাঁর ৪ ভাই কোন প্রকার অন্যায় বা দুষ্ট কাজের সাথে জড়িত নেই বলে এমনটাই দাবি করেন। তবে তিনি ষড়যন্ত্রের স্বীকার হয়েছেন বার বার।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)