কথা রাখেনি বিএনপির হাইকমান্ড
ডেস্ক নিউজ:
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে আন্দোলন সফল করার জন্য নেতাকর্মীদের যে আশ্বাস দিয়ে মাঠে নামিয়েছিল বিএনপি, তা রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। এমন অভিযোগই করেছেন দলটির তৃণমূল নেতাকর্মীরা।
তারা বলছেন, যেসব নেতাকর্মী অসহায়, তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছিল বিএনপি। তবে তীব্র অর্থনৈতিক সংকটের কারণে বিএনপির সে আশ্বাস পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। সবকিছু মিলিয়ে দলে একটা নাজুক অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। অর্থকষ্টে বিএনপি নেতারা কোনো কর্মসূচি পালন করতে পারছেন না। যেসব নেতাকর্মীরা কারাগারে আটক রয়েছেন, তাদের আইনি সহায়তা দেওয়াও সম্ভব হচ্ছে না।
দলীয় সূত্র জানায়, বড় ধরনের কর্মসূচি গ্রহণের ইচ্ছা থাকলেও আর্থিক অনটনের জন্য তা করতে পারছে না বিএনপি। আর অর্থকষ্টের প্রধান কারণ হলো বিএনপিকে যেসব ব্যবসায়ীরা টাকা দিতেন, তারা এখন আর টাকা দিচ্ছেন না।
ব্যবসায়ীরা বুঝে গেছে, বিএনপির আপাতত ক্ষমতায় আসার সম্ভবনা নেই। এখন বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক রাখলে তাদের ওপর বিপদ নেমে আসতে পারে। এজন্য তারা এখন বিএনপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। নির্বাচনের পর বড় বড় ব্যবসায়ী রীতিমত বিএনপির পাশ থেকে সরে গেছেন।
সংগঠন চালানোর জন্য বিএনপিপন্থী যে দু-চারজন ব্যবসায়ী আর্থিক সাহায্য দিতেন, তারাও এখন হাত-পা গুটিয়ে নিয়েছেন। আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী দীর্ঘদিন জেলে থাকায় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বিএনপির নেটওয়ার্কও নষ্ট হয়ে গেছে। সব মিলিয়ে বিএনপির অর্থের উৎসগুলো একে একে বন্ধ হয়ে গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক সিনিয়র নেতা বলেন, বিএনপি অর্থের উৎস বন্ধ হলে কী হবে, লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এখনও তো বহাল তবিয়তেই আছেন। তিনি নানাভাবে আর্থিক সহায়তা পাচ্ছেন। তার অর্থের প্রধান উৎস প্রবাসে থাকা বিএনপির নেতারা। লন্ডনে বিএনপি নেতা আব্দুল মালেকসহ বিভিন্ন দেশের অবস্থানরত বিএনপির ধনাঢ্য ব্যক্তিরা তাকে অর্থ সহায়তা প্রদান অব্যাহত রেখেছেন। আর এ অর্থে লন্ডনে রাজকীয় জীবনযাপন করছেন তারেক রহমান।
এ নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে।