স্ত্রীর সঙ্গে একান্ত মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করে টাকা আদায়, অতঃপর…

ডেস্ক নিউজ:

প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে বিয়ে করেন আবুল হাসেম। বিয়ের প্রাথমিক অবস্থায় স্বামী-স্ত্রীর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করে রাখেন আবুল হাসেম। এভাবে বিভিন্ন সময় দৃশ্য ধারণ করতেন। স্বামী হওয়ায়তাতে আপত্তি করত না অভিযোগকারী। পরবর্তীতে স্বামী আবুল হাসেম স্ত্রীর কাছে অর্থ দাবি করত। অর্থ প্রদানে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করলে ধারণকৃত একান্ত মুহূর্তের ভিডিও এবং স্থিরচিত্রগুলো ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখান।

সম্মানের ভয়ে স্বামীকে ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা দেন ভুক্তভোগী। গত ১৯ জানুয়ারি আবারো ভিডিও ভাইরালের ভয় দেখিয়ে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন আবুল হাসেম। এ ঘটনায় শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) হাতিয়া থানায় এ অভিযোগ করেন ওই ভুক্তভোগী নারী।

ঘটনাটি ঘটেছে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায়। অভিযুক্ত আবুল হাশেম সোনাদিয়া ইউনিয়নের সোনাদিয়া গ্রামের মো. আব্দুল কুদ্দুছের ছেলে।

ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, স্বামী আবুল হাসেম প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে তাকে বিয়ে করেন। বিয়ের প্রাথমিক অবস্থায় স্বামী-স্ত্রীর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করে রাখে আবুল হাসেম। এভাবে বিভিন্ন সময় দৃশ্য ধারণ করতো। স্বামী হওয়ায় অভিযোগকারী তাতে আপত্তি করত না। পরবর্তীতে স্বামী আবুল হাসেম স্ত্রীর কাছে অর্থ দাবি করত। অর্থ প্রদানে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করলে ধারণকৃত শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও এবং স্থিরচিত্রগুলো ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখায়। নিরুপায় হয়ে সম্মানের ভয়ে বিভিন্ন তারিখে স্বামীকে ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা প্রদান করে ভুক্তভোগী। গত ১৯ জানুয়ারি আবারো ভিডিও ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।

ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, আমার স্বামী আমাদের একান্ত সময়ের সম্পর্কের ধারণ করা ভিডিওগুলো ভাইরাল করার ভয় দেখাচ্ছে। আমি আমার পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছি। সামাজিকভাবে আমি নিরুপায় হয়ে আছি। কাউকে মুখ দেখাতে পারছি না। আমি এসব যন্ত্রণা থেকে মুক্তি চাই। না হলে আমি আত্মহত্যা করব।

ওই নারীর চাচাতো ভাই আবদুল হাকিম বলেন, স্বামীর সঙ্গে আমার বোনের ডিভোর্স হয়নি। কোনো কাগজপত্রও পাইনি। নিরুপায় হয়ে আমার বোন আইনের আশ্রয় নিয়েছে।

তবে অভিযুক্ত স্বামী আবুল কাশেম বলেন, আমাদের ১৫ দিন আগে ছাড়াছাড়ি হয়েছে। সে এখন আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে। অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে আমি সব শাস্তি মাথা পেতে মেনে নেব।

হাতিয়া থানার ওসি মো. জিসান আহমেদ বলেন, ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। অভিযোগের সত্যতা পেলে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে ভুক্তভোগী নারী যদি কোনো নিরাপত্তা চায় আমরা সহযোগিতা করব।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)