দলবদ্ধ ধর্ষণ: ১০ জনের ফাঁসি, ৬ জনের যাবজ্জীবন
ডেস্ক নিউজ:
বহুল আলোচিত নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৬ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ও যাবজ্জীবন আসামিদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে প্রত্যেককে আরো দুই বছরের স্বশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
সোমবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে এ রায় ঘোষণা করেন নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক (জেলা জজ) ফাতেমা ফেরদৌস। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন ১৫ আসামি। পলাতক আছেন এক আসামি।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর ছালেহ আহম্মদ সোহেল খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সুবর্ণচরের মধ্যম বাগ্যা গ্রামের মো. সোহেল, মো. হানিফ, স্বপন, মো. চৌধুরী, ইব্রাহীম খলিল বেচু, মো. বাদশা আলম বসু, আবুল হোসেন আবু, মোশারফ, মো. সালাউদ্দিন, মো. জসিম উদ্দিন, মো. হাসান আলী বুলু, মো. মুরাদ, মো. জামাল ওরফে হেঞ্জু মাঝি ও মো. সোহেল। আসামি মো. মিন্টু ওরফে হেলাল ঘটনার পর থেকে পলাতক।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- মো. হানিফ, মো. চৌধুরী, মো. বাদশা আলম ওরফে কুড়াইলা বাসু, মোশারফ, মো. মিন্টু প্রকাশ হেলাল ও মো. সোহেল।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর ছালেহ আহম্মদ সোহেল খান বলেন, রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট। রায়টি অপরাধীদের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর রাতে স্বামী-সন্তানদের বেঁধে রেখে এক নারীকে মারধর ও গণধর্ষণ করা হয়। নির্যাতনের শিকার নারী ৪ সন্তানের জননী। ঘটনাটি তখন দেশে-বিদেশে ব্যাপক আলোচিত হয়। পরদিন (৩১ ডিসেম্বর) নির্যাতনের শিকার নারীর স্বামী বাদী হয়ে চরজব্বর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। পরে মামলার তদন্ত শেষে রুহুল আমিন মেম্বারসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে জেলা ডিবি পুলিশ।