সংবাদ প্রকাশের জেরে পরিবর্তন হল সুব্রতর নিজস্ব ক্যাশ কাউন্টার
ওমর ফারুক বিপ্লব : সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্যাথলজী সুব্রতর অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় জেরে স্থান পরিবর্তন করছে সুব্রতর নিজস্ব ক্যাশ কাউন্টার। ক্লিনিক্যাল প্যাথলজী ৩১৪ নাম্বার রুমের সামনে চেয়ার টেবিল বসিয়ে সুব্রতর নিজস্ব ক্যাশ কাউন্টার ছিল। এরপরে সেখানে তাদের নিজস্ব প্যাড তৈরি করে রশিদ টাকা নিত সে । সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর ৩১৫ নাম্বার রুমে গোপনীয় ভাবে ক্যাশ কাউন্টার খুলে বসেছেন প্যাথলজি বিভাগের সুব্রত। প্যাথলজী বিভাগের ইনর্চাজ সুব্রতর নির্দেশে প্রকাশ্যে এই অনিয়ম করা হচ্ছে। রশিদ ছাড়া প্যাথলজী বিভাগের পরীক্ষার টাকা রাজস্ব খাতে জমা হচ্ছে না। আত্মসাৎ করা টাকা পৌঁছে যাচ্ছে প্যাথলজী বিভাগের ইনর্চাজ সুব্রতর পকেটে। তবে বন্ধ হচ্ছে না সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্যাথলজী বিভাগের ইনর্চাজ সুব্রতর নিজস্ব ক্যাশ কাউন্টার। গভীর অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্যাথলজী বিভাগের ইনর্চাজ সুব্রত দীর্ঘদিন চাকুরী করছে কিছু কর্মকর্তা কে ম্যানেজ করে এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সূত্র জানায় প্যাথলজী বিভাগের ইনর্চাজ সুব্রত মাদকাসক্ত। সুব্রত মাদক সেবন করে রুগী ও রুগীর আত্মীয় স্বজনদের সাথে খারাপ আচারণ করেন এমন একাধিক অভিযোগ আছে প্যাথলজী বিভাগের ইনর্চাজ সুব্রতর বিরুদ্ধে। একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তি কিভাবে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মতো জায়গায় প্যাথলজী বিভাগে ইনর্চাজ হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছে জানতে চাই সচেতন মহল।
পত্রিকার হকার আজানুর জানান, আমি প্রতিদিন সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পত্রিকা দিতে যায় হঠাৎ একদিন প্যাথলজি বিভাগের ইনর্চাজ সুব্রতর সাথে দেখা হয় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সে আমাকে বলে নিউজ করে আমাকে কিছু করতে পেরেছে আমার উপর লেবেলে টাকা দিয়ে ম্যনেজ করা নিউজ করে আমাকে কিছুই করতে পারবে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের কয়েকজন কর্মচারী জানান, প্যাথলজী বিভাগের আর্থিক দুর্নীতি বন্ধ করতে হলে ক্যাশ কাউন্টারের রশিদ ছাড়া কোন পরীক্ষা নিরীক্ষা নয়, অথচ সেটা এখানে চলছে। ক্যাশ কাউন্টারের রশিদের অর্থ ছাড়া আর কোন টাকা রাজস্ব খাতে জমা করা হয় না। প্যাথলজি বিভাগে সুব্রতর নিজস্ব ক্যাশ কাউন্টার তৈরি করে টাকা নিজের পকেটে রাখছে। এতে করে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
তারা আরো জানান, সুব্রত ঠিকমতো ডিউটি করেন না বেশির ভাগ সময় তিনি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বাইরে থাকে। সুব্রতর বিরুদ্ধে কিছু বলতে সাহস পাইনা কিছু বলে মারধর খেতে হবে তা না হলে চাকরি হারাতে হবে। সুব্রতর অনুপস্থিতে তার এই অপকর্ম দুর্নীতি দেখভাল করেন সুব্রতর ভাইপো অনিমেষ। এই অনিমেষ মেডিকেলে কর্মচারীদের সাথে খারাপ আচারণ করে এবং দাপট দেখায় বলে কোন কিছু বললে চাকরী খেয়ে দেব। এছাড়া প্যাথলজী সুব্রতর বিরুদ্ধে বিগতদিনে চাকুরী দেওয়ার নামে নিরীহ মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে চাকুরী দিতে না পারায় থানা পুলিশ পর্যন্ত হয়েছে।
এই বিষয়ে প্যাথলজী বিভাগের ইনর্চাজ সুব্রত কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগে নিজস্ব ক্যাশ কাউন্টার ছিলো এখন আর সেটা নাই এখন একটাই ক্যাশ কাউন্টার রয়েছে সেখানেই সব কিছু লেনদেন হয়। ৩১৪ নাম্বার রুমের সামনে থেকে ক্যাশ কাউন্টার সরিয়ে আবার ও ৩১৫ নাম্বার রুমে গোপনীয়ভাবে ক্যাশ কাউন্টার খুলে টাকা নিচ্ছেন এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন আমি আগে টাকা নিচ্ছিলাম এখন বন্ধ আছে যারা নিচ্ছে তাদের ধরেন।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডঃ শীতল চৌধুরী কাছে এই বিষয়ে মুঠফোনে কয়েক বার ফোন দিলে তিনি ফোন টি রিসিভ করেনি।