বদলি হলেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাহিদুর রহমান
রঘুনাথ খাঁ ঃ বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের তিন দিনের মধ্যেই সাতক্ষীরা সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাহিদুর রহমানকে বদলি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে খুলনা জেলার বটিয়াঘাটায় বদলি করা হয়। তার বদলির আদেশে সন্তোষ ও মহাপরিচালকের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন সদর উপজেলার শিক্ষক-কর্মচারিরা।
সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষা অফিসার শাহাজাহান কবির জানান, জাহিদুর রহমানকে খুলনার বটিয়াঘাটায় বদলি করা হয়েছে। আর বটিয়াঘাটার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নারায়ন চন্দ্র মণ্ডলকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত,গত ২২ জানুয়ারি বিভিন্ন পত্রিকায় ্ওই শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধ সংবাদ প্রকাশিত হয়। এর জেরে তিনদিনের মধ্যে তাকে বদলি করা হয়।এদিকে,জাহিদুর রহমানকে বদলির খবরে উল্লাস প্রকাশ করেছেন শিক্ষকরা। তবে তাকে বদলির মতো ন্যুনতম শাস্তিতে ক্ষোভ জানিয়েছেন কেউ কেউ। তবে সিটি কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের তুখোড় শিক্ষক বিধান চন্দ্র দাস বলেন, জাহিদুর রহমানের সহযোগী নবারুন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান ও তাদের অপকর্মের সহযোগী সাবেক এক সাংসদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পৌরসভার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একজন প্রধান শিক্ষক জানান,‘‘ ৭টি বছর ধরে রাজনৈতিক প্রশ্রয়ে শিক্ষকদের জিম্মি করে কোটি কোটি টাকা আয় করেছেন জাহিদুর রহমান। পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় আমরা মনে করেছিলাম,সাময়িক বরখাস্ত করে তাকে বিভাগীয় মামলার মুখোমুখি করা হবে। কিন্তু বদলির মতো সাধারণ একটা ব্যাপার ঘটাতে আমরা খুশি হতে পারছিনা।’’ তবে হাতি হাবড়ে পড়ায় সোমবার পোস্ট অফিস মোড়ে জাহিদুর রহমানকে ডেকে তাকে বাঁচিয়ে দেওয়ার কথা বলে নগদ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন পাটকেলঘাটা এলাকার টিভি ও জাতীয় পত্রিকার এক সাংবাদিক।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাফরউল্লাহ বলেন,‘‘জাহিদুর রহমানের মতো শিক্ষাদস্যু বদমেজাজী কর্মকর্তা সদর উপজেলা থেকে সরে গেলো। এতে আমরা উল্লসিত। তার অহরহ দুর্ব্যবহারের মুখে আমাদের পড়তে হবেনা। মহাপরিচালক মহোদয়কে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ’’
সাতক্ষীরা নবারুন বালিকা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক জানান, এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক ও এক সাবেক এমপির যোগসাজসে নবারুন স্কুলে জাহিদুর রহমান রাত্রিকালিন নিয়োগ বোর্ড বসাতেন। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
বদলী হওয়া শিক্ষা কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান জানান, মাউশি আমাকে বদলি করেছে। মন্তব্য করার কিছু নেই।