আজ অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন:উপস্থিত থাকবে ৮০০ মানুষ!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
উত্তর ভারতীয় শহর অযোধ্যায় বিশাল প্রাঙ্গণে ১৮০০ কোটি ভারতীয় টাকারও বেশি খরচ করে হিন্দু দেবতা রামচন্দ্রের মন্দির গড়ে উঠেছে। আজ সেই মন্দিরের উদ্বোধন করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
অনুষ্ঠান ঘিরে বিশাল আয়োজন করা হয়েছে। দেশের নানা প্রান্ত থেকে অন্তত ৮০০০ মানুষ উদ্বোধনের সময়ে অযোধ্যায় উপস্থিত থাকবেন। থাকছেন তারকা অতিথিরাও। রামমন্দির উদ্বোধনের পর মোদি অযোধ্যায় একটি জনসভাও করবেন।
ভারতীয় সময় দুপুর ১২টার পর শুরু হবে উদ্বোধন অনুষ্ঠান। ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত মোদি রামমন্দিরের ভিতরেই থাকবেন। তবে ওই সময়ে তিনি কী করবেন, তা জানানো হয়নি। রামলালার বিগ্রহে ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’র আচার-অনুষ্ঠান শুরু হবে ১২টা ৫ মিনিটে। টানা ৫০ মিনিট ধরে অনুষ্ঠান চলবে। ১২টা ৫৫ মিনিটে সব আচার-অনুষ্ঠান সেরে উদ্বোধনস্থল ছেড়ে বেরোবেন প্রধানমন্ত্রী।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হলেও অনুষ্ঠানে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস। এ ছাড়া শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে, সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব, তৃণমূল কংগ্রেসের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিংবা সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরিও জানিয়ে দিয়েছেন, ওই অনুষ্ঠানে তারা যাবেন না।
মন্দিরটি যেখানে তৈরি হয়েছে, সেটা ভারতের সবচেয়ে বিতর্কিত ধর্মীয় স্থানগুলোর অন্যতম। ওখানেই একসময়ে ছিল ষোড়শ শতাব্দীতে তৈরি বাবরি মসজিদ। রাম মন্দির ধ্বংস করে ওই মসজিদ গড়া হয়েছিল, এই দাবি তুলে উন্মত্ত হিন্দু জনতা ১৯৯২ সালে মসজিদটি ভেঙে দিয়েছিল। তারপরে সারা দেশে শুরু হয়েছিল সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, মারা যান প্রায় দুই হাজার মানুষ।
বহু বছর ধরে হিন্দু আর মুসলমানদের মধ্যে যে জমি নিয়ে বিবাদ চলে আসছিল, ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ২০১৯ সালে দেওয়া এক রায়ে তার মালিকানা হিন্দুদের দিয়ে দেয়। যদিও সর্বোচ্চ আদালত এটাও স্পষ্ট করে বলেছিল যে মসজিদ ধ্বংস করাটা ছিল ‘আইনের শাসনের জঘন্য লঙ্ঘন।’
মসজিদ বানানোর জন্য মুসলমানদের অযোধ্যাতেই অন্য একটি জমিও দেয় আদালত।