মাদক চোরাচালান ও নারী পাচারের রুট পয়েন্ট কৈখালী
মোঃ আলফাত হোসেন:সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের দুই বাংলার সীমান্তবর্তী এলাকায় নারী ও শিশু, মাদক পাচারের পাশাপাশি,অনেক যুবক জড়িয়ে পড়েছে মাদকের সাথে। তথ্য ও অনুসন্ধানে জানা যায় বাংলাদেশের দক্ষিণে-পশ্চিমে, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবনের কোল ঘেঁষে উপকূলীয় কালিন্দী নদীর সীমান্তবর্তী ইউনিয়ন কৈখালী।
এই সীমান্তবর্তী কৈখালীর শৈলখালী গ্রামে কালিন্দী নদীর পাড় সন্নাসী রপ্তান এর বাড়ী হতে, আজিজ মল্লিকের মোড়, যাদবপুর বাজার,ও শৈলখালী মাদ্রাসা সংলগ্ন নাজের চৌকিদারের মোড়,গঙ্গার মোড়,রমজাননগর ব্রীজ,এলাকাগুলো বিশেষ করে মাদক চোরাচালানের হটস্পট ও মূল রুট পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার করছে মাদক ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয়রা জানায়, কৈখালী চেয়ারম্যান এবং শ্যামনগর থানা পুলিশ ও কোস্টগার্ড সদস্যদের তৎপরতায় মাঝে মাঝে এই সমস্ত এলাকা হতে মদ গাজা আটক করা হয়, কিন্তু মাদক বহনকারী আটকাতে সম্ভব হলে ও মাদকের মূল হোতাকে আটক করা সম্ভব হয় না।তবে মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধে দেখা যায় না তেমন কোন সীমান্তপ্রহরী বিজিবি সদস্যদের, গোপন সূত্রে জানা যায় চোরা-কারবারীদের অনেকেরেই বিজিবি সদস্যদের আঁতাত রয়েছে। শ্যামনগরের মূল মাদকের আস্তানা কৈখালীতে মাদক ও চোরাচালানে মূল হোতারা আছে নিরাপদে দিনে দেশে, রাতে ভারতে পরিচয় গোপন রাখতে ক্যামেরার সামনে না এসে তারা বলেন এখানে পাচার হওয়া নারীদের ধর্ষণের অভিযোগ ও আছে।এছাড়া কৈখালী সীমান্ত থেকে মাদক,গরুর পাশাপাশি নারী পাচার ও হয়ে আসছে।
সাধারণ মানুষ করে বলেন, এই সীমান্তবর্তী এলাকাতে এখনো পর্যন্ত কোনো মাদক ব্যবসায়ী ও চোরাকারবারীদের কিছু চক্রকে দাবিয়ে রাখতে পারেনি স্থানীয় প্রশাসন, কৈখালী ইউনিয়নে মাদক সেবক ও বিক্রেতাদের জন্য নিরাপদ স্থান বলে মনে করেন মাদক ও চোরাকারবারিরা। শ্যামনগরে স্কুল,কলেজ পড়ুয়া অনেক যুবক এখন মাদকাসক্ত।বেকারত্ব সমস্যা,রাজনৈতিক অস্থিরতা,পারিবারিক দ্বন্দ্ব,সামাজিক অস্থিরতা,স্নেহ ও মমতার অভাব হতাশার দিকে ঠেলে দিচ্ছে মাদকের দিকে।মাদকাসক্তি তাদেরকে নৈতিকভাবে,শারীরিকভাবে ও অর্থনৈতিকভাবে করছে ধ্বংস।মাদক যুব সমাজকে সর্বনাশের পথে ধাবিত করছে।মাদক সেবকরা স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে না,এটি সামাজিক ও পারিবারিক সন্ত্রাস,যেমন ছিনতাই অপহরণ ,ডাকাতি,ইভটিজিং, ইত্যাদি ঘটাচ্ছে।
এলাকার সচেতন মহলের দাবী , মাদক ব্যবসা,নারী পাচার, ও চোরাকারবারীদের অপকর্ম বিজিবি সদস্যদের অনীহার কারনে বেড়ে চলেছে। এলাকাটিতে মাদকমুক্ত যুব সমাজ গড়তে মাদক ব্যবসায়ীদের ও চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এ বিষয়ে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।