সাতক্ষীরায় স্কুলে মোবাইল ফোন নিতে মানা করায় ১০ম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা
রঘুনাথ খাঁ:
বিদ্যালয়ে মোবাইল ফোন নিয়ে যেতে নিষেধ করায় মায়ের উপর অভিমান করে গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে ১০ম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। রবিবার সকাল ১১ টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুশখালি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ গ্যাস ট্যাবলেট খাওয়ার ঘটনা ঘটে।
মৃতের নাম সুমাইয়া খাতুন (১৬)। সে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুশখালি গ্রামের আহাদ আলীর মেয়ে।
কুশখালি গ্রামের ফারুক হোসেন জানান, তার চাচা আহাদ আলী বর্তমানে বাগেরহাটে দিনমজুর হিসেবে ইটভাটায় কাজ করে। চাচাত বোন সুমাইয়া কুশখালি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীতে পড়াশুনা করে। বাড়িতে থাকাকালিন ও স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে সুমাইয়া মোবাইল ফোনে বেশি বেশি কথা বলতো। বিষয়টি তার মা নীলিমা খাতুন আপত্তি করলেও সে শুনতো না। রবিবার সকালে সুমাইয়া খাতুন মোবাইলে অনর্গল কথা বললে তার মা তাকে বকাবকি করে। এমনকি স্কুলে মোবাইল না নিয়ে যাওয়ার জন্য বলে। এতে সে মায়ের উপর অভিমান করে। সকাল ১১টার দিকে স্কুলের এক সহপাঠির মাধ্যমে তারা জানতে পারেন যে, সুমাইয়া একটি কক্ষে যেয়ে গ্যাস ট্যাবলেট খেয়েছে। তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দুপুরে পৌনে দুটোর দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুমাইয়া মারা যায়।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহিদুল ইসলাম জানান, সুমাইয়ার লাশ হাসপাতালে রাখা আছে। মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।