গাজা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের ভোট দ্বিতীয়বারের মতো স্থগিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের বিষয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ভোট দ্বিতীয়বারের মতো স্থগিত করা হয়েছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার এই ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এর আগে, সোমবার প্রথম দফায় ভোটাভুটি স্থগিত করা হয়।
বুধবার এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি জানায়, গাজায় ত্রাণ সরবরাহের জন্য সংঘাত বন্ধের লক্ষ্যে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের একটি খসড়া রেজুলেশনের ওপর ভোটাভুটি মঙ্গলবার টানা দ্বিতীয়বারের মতো স্থগিত করা হয়েছে।
জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র এখনো এই খসড়া রেজোলিউশনের বিষয়ে আশ্বস্ত নয়, মঙ্গলবার দিনের শেষের দিকে এই ভোট হওয়ার কথা ছিল। তবে স্থগিত হওয়ার পর এখন বুধবার নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা খসড়া প্রস্তাবের ওপর ভোট দেবেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের উত্থাপিত এই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, গাজায় তাৎক্ষণিকভাবে সব হামলা বন্ধ করতে হবে, বন্দিদের বিনা শর্তে মুক্তি দিতে হবে এবং গাজার সাধারণ মানুষের কাছে বিপুল ত্রাণ পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে সংঘাতের সকল পক্ষকে অবশ্যই তাদের বাধ্যবাধকতা মেনে চলতে হবে তা নিশ্চিত করার কথাও বলা হয়েছে।
তবে গত সোমবার ভোট স্থগিত করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র যেন নতুন করে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ভেটো না দেয়— সেজন্য নিরাপত্তা পরিষদের অন্যান্য দেশগুলোর কূটনীতিকরা সেদিন মার্কিন কূটনীতিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। মঙ্গলবারও দ্বিতীয়বারের মতো এই ভোটাভুটি স্থগিত করা হয়। মূলত যুক্তরাষ্ট্র এখনও এই খসড়া রেজোলিউশনের বিষয়ে আশ্বস্ত হতে পারেনি।
এর আগে, মঙ্গলবার জাতিসংঘে নিযুক্ত ডেপুটি মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট উড সাংবাদিকদের বলেন, সদস্যরা এখনও অন্যান্যদের সঙ্গে এই খসড়া রেজোলিউশন নিয়ে কাজ করছে। তিনি বলেন, আমি শুধু বলতে পারি যে, আমরা এই ইস্যুতে এখনও কাজ করছি এবং আজ কী ঘটে তা আমরা দেখব। তবে এই মুহূর্তে আমি আপনাকে কেবল এটিই বলতে পারি।
গত ৯ ডিসেম্বর গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি হয়। কিন্তু সেটিতে সঙ্গে সঙ্গে ভেটো দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এতে ইসরায়েল খুশি হলেও বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলো মার্কিনিদের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
যুক্তরাষ্ট্রের সেই ভেটোর পর গাজায় বর্বরতা আরও বৃদ্ধি করে দখলদার ইসরায়েলি সেনারা। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলো যুদ্ধবিরতির পক্ষে সরব হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানে পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা রয়েছে।