শ্যামনগরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জমি জবর দখল চেষ্টার অভিযোগ
রঘুনাথ খাঁ:
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে এক সংখ্যালঘু পরিবারের পৈত্রিক জমি জবর দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। সফিকুল ইসলাম ডাবলু নামের এক ব্যক্তি নার্সিং পয়েন্টের জন্য ইজারা নিয়ে ঐ জমি দখলের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে দু’পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিলে পুলিশ পৌছে পরিস্থিতি শান্ত করেছে। ঘটনাটি ঘটে সোমবার সকাল ৮ টার দিকে উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের মথুরাপুর গ্রামে।
জমির মালিকানা দাবি করে একই গ্রামের মৃত নগেন্দ্রনাথ মন্ডলের ছেলে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নবতরন মন্ডল জানান, কয়েক বছর পূর্বে সাতক্ষীরার মুনজিতপুরের সফিকুল ইসলাম ডাবলু তার তিন বিঘা জমি ইজারা নিয়ে নার্সিং পয়েন্ট গড়ে তোলেন। ইজারার মেয়াদ উত্তীর্ন হওয়ার পর ব্যবসায় লোকসানের অজুহাতে টাকা এক সপ্তাহ পরে দেওয়ার কথা বলে আরও দুই বছর তিনি উক্ত জমির ইজারা বৃদ্ধি করে নেন। একপর্যায়ে বারবার তাগেদা করে টাকা না দেওয়ায় চাষাবাদের জন্য সোমবার সকালে নিজেদের জমিতে গেলে নার্সিং পয়েন্টের মালিকের লোকজন তাদের উপর হামলা করে।
এসময় স্ত্রীসহ তিনি নিজে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন বলেও দাবি করে নবতরণ মন্ডল। তিনি আরও জানান তাদের পৈত্রিক ঐ জমি দখলে নিতে সফিকুল প্রভাব খাটিয়ে ছেলেসহ তাকে হত্যা চেষ্টার মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা দেবসুন্দর সরকার বলেন, তিনি নিজেও নগেন বাবুর ছেলেদের কাছ থেকে ডিড নিয়ে ২০০১ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ঘের করেছেন। তার পরে ডাবলু ডিড নিয়। ডিড নিয়ে ডাবলু আর ঐ জমি ছাড়তে চাইছে না।
এছাড়াও হরিনগর বাজারের কয়েক জনের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, তারা জানেন ঐ জমি নগেন বাবুর ছেলেদের, ডাবলু ডিড নিয়ে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ঐ জমি আর ছাড়ছে না।
অভিযোগের বিষয়ে সফিকুল ইসলাম ডাবলু জানান, উক্ত জমি নিয়ে নবতরণ মন্ডলের সাথে তার ভাই বলেন্দু সরকারের দেওয়ানী মামলা চলছে। তার এক আত্বীয় বলেন্দু সরকারের কাছ থেকে উক্ত জমি বায়নাপত্র করে নেয়ায় তিনি সেখানে নার্সিং পয়েন্ট পরিচালনা করছেন। তবে জমি দখলে বাধা পেয়ে মারপিটের কথা তিনি অস্বীকার করেন। সাক্ষাতে কথা বলবেন জানিয়ে তিনি ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, খবর পেয়ে উপপরিদর্শক নিশাত ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।
Please follow and like us: