কুলিয়া এলাহী বক্স দাখিল মাদ্রাসায় সুপারের ১৮ লক্ষ টাকা নিয়োগ বাণিজ্য-থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরা দেবহাটায় কুলিয়া এলাহী বক্স দাখিল মাদ্রাসায় শূন্য আয়া পদে ও নিরাপত্তা প্রহরী পদের জন্য শূন্য দুটি পদে ১৮ লক্ষ টাকা নিয়োগ বাণিজ্য হচ্ছে এমন তথ্য আসেন সাংবাদিকদের কাছে।
সরজমিনে দেখা যায়,শুক্রবার দেবহাটায় কুলিয়া এলাহী বক্স দাখিল মাদ্রাসার কক্ষে এই নিয়োগ পরীক্ষা হচ্ছে । সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে আয়া পদের নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ রাখেন ভারপ্রাপ্ত সুপার আনোয়ারুল ইসলাম ও মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আসাদুল ইসলাম।
কুলিয়া এলাহী বক্স দাখিল মাদ্রাসার জমিদাতা মমতাজ বেগম বলেন, মাদ্রাসার নতুন কক্ষ তৈরি করার জন্য কিছু জমির প্রয়োজন হয় এবং আমার নিকট জমি দাবি করলে আমি তাদের শর্ত দেয় যে, আমার মেয়েকে আয়া পদে যদি এই প্রতিষ্ঠানে রাখতে পারেন তাহলে আমি আপনাতের জমি দিতে পারি।
সেই মর্মে ১০০ টাকার তিনটি স্ট্যাম্পের চুক্তি নামায় স্বাক্ষর করে ৬ মাস আগে আমার থেকে জমি নিয়েছে কিন্তু এখন আমার মেয়ের চাকুরী হচ্ছে না। চাকুরী দিতে না পারলে আমার জমি ফেরত দিতে হবে । মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার আনোয়ারুল ইসলাম ও মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আসাদুল ইসলাম এখানে নিয়োগ বাণিজ্য শুরু করেছেন।
অন্য দিকে শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) আশরাফুল ইসলাম এক ব্যক্তির কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ৯ লক্ষ টাকার চুক্তিতে প্রতিশ্রুতি দিয়ে নগত ৩ তিন লক্ষ টাকা ভারপ্রাপ্ত সুপার আনারুল ইসলাম আশরাফুলের কাছ থেকে গ্রহণ করেন । উল্লেখ্য তাকে চাকরি না দিয়ে অন্য ব্যক্তিকে চাকরি দেওয়ার অভিযোগে উত্তেজিত হয়ে ভুক্তভোগী আশরাফুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত সুপার আনারুলের টাকা ফেরত চাইলে কথা কাটাকাটির উভয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে স্থানীয় জনগণ মাদ্রাসায় ঢুকে পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য উভয়পক্ষকে চলে যেতে বলেন । বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যার পরে জানা যায়।
ভারপ্রাপ্ত সুপার আনারুল ইসলামের উপরে সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগে আশরাফুল ইসলাম এবং আয়া পদে আবেদনকারী মাদ্রাসার জমির দাতা মনিরা খাতুন সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ভারপ্রাপ্ত সুপার আনারুল ইসলাম বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন। পরবর্তীতে পাল্টা অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী টাকা পাওনাদার আশরাফুল ইসলাম।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, শুক্রবার মাদ্রাসার শূন্য নিরাপত্তা প্রহরী ও আয়া পদে নিয়োগ অনুষ্ঠিতের দিন ছিল। মনিরা খাতুন ও তার স্বজনেরা সকাল থেকেই মাদ্রাসার নিয়োগ পরীক্ষা বাধা গ্রস্তের চেষ্টা করছিল।
তাদের দাবি ছিল বিনা পরীক্ষায় মনিরা খাতুনকে নিয়োগ দিতে হবে, অন্যথায় পরীক্ষা দিতে দেওয়া হবেনা। কিন্তু বিধি বহির্ভূতভাবে বিনা পরীক্ষায় মনিরা খাতুনকে নিয়োগ দেয়ার কোন আইনগত সুযোগ না থাকায় । তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে পরীক্ষাটি স্থগিত করে কেবলমাত্র নিরাপত্তা প্রহরী পদে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়।