ধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টা: বাঁচল না সেই মাদরাসাছাত্রী
ডেস্ক নিউজ:
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় ধর্ষণের পর শরীরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় আহত মাদরাসাছাত্রী মারুফা মারা গেছেন। রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ৪০ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিবগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রউফ। মৃত মারুফা উপজেলার আটমূল ইউনিয়নের নান্দুড়া গ্রামের মাসুদুর রহমানের মেয়ে এবং স্থানীয় নান্দুরা ফাজিল মাদ্রাসার আলিম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
মারুফার চাচা কামরুজ্জামান জানান, মঙ্গলবার দুপুরে মারুফার শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে। একপর্যায়ে দুপুর ১টার দিকে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন মারুফা। এরপর রাত ৮টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
শিবগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রউফ বলেন, রাত ৮টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় মারুফা। মরদেহ বগুড়ায় আনার পর ময়নাতদন্ত করা হবে। এ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত ৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে তিন ব্যক্তি ওই কিশোরীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করেন। পরে হত্যার উদ্দেশ্যে তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যান। জানতে পেরে স্থানীয়রা আগুনে দগ্ধ মারুফাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয় তাকে।
এ ঘটনায় গত ৯ সেপ্টেম্বর শিবগঞ্জ থানায় মারুফার বাবা মাসুদুর রহমান বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা করেন। ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মূল আসামি সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলার বাকি দুই আসামি রঞ্জু ও নাঈম পলাতক রয়েছেন।