খোসা ছাড়িয়ে শসা খাওয়া কি উচিত?
স্বাস্হ্য ও চিকিৎসা:
খাদ্য প্রেমী ও স্বাস্থ্য সচেতনরা সালাদ হিসেবে প্রতিদিনই শসা খান। ওজন কমানো থেকে শুরু করে শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে এই শসা। এতে ভিটামিন কে, সি এর পাশাপাশি আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ খনিজ আছে।
শসা বিভিন্ন উপায়ে খাওয়া হয়, কখনো কাঁচা আবার কখনো রান্না করে। তবে জেনে অবাক হবেন, প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ শসা খাওয়ার সঠিক উপায় জানেন না।
খোসা ছাড়িয়ে শসা খাওয়া কেন উচিত নয়
খোসা ছাড়িয়ে শসা খাওয়া কেন উচিত নয়। কারণ শসার খোসায় বেশ কিছু ভিটামিন ও খনিজ থাকে। তাই খোসা ফেলে দিলে শসার বেশিরভাগ পুষ্টিগুণই নষ্ট হয়ে যায়। তাই সব সময় খোসাসহ শসা খাওয়া উচিত।
শুধু খেয়াল রাখতে হবে শসা যেন পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নেওয়া হয়। হালকা গরম পানিতে শসা ধুলে এর গায়ে উপস্থিত কীটনাশক বা ময়লা দূর হয়ে যায়। এছাড়া লবণ পানিতে ভিজিয়ে রেখেও শসা জীবাণুমুক্ত করতে পারবেন।
শসা খেলে যা হয়
> শসার খোসায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়।
> শরীরকে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে শসায় থাকা পুষ্টিগুণ। গরমে প্রতিদিন শসা খেলে শরীরে পানিশূন্যতার সৃষ্টি হয় না।
> ওজন কমাতে সাহায্য করে শসায় থাকা ফাইবার। এই পুষ্টিগুণ পেট ভরা রাখে ও ক্ষুধা কমায়। শসা খেলে শরীরের মেটাবলিজম বাড়ে। ফলে ওজন কমে। খোসা’সহ শসা খেলে আরও উপকার মেলে।
> ত্বকের বার্ধক্য নিয়ন্ত্রণ করতেও শসা উপকারী। নিয়মিত শসা খেলে ত্বকের বার্ধক্য প্রক্রিয়া ধীর হয়।
> শসায় থাকা পানি শরীরের বর্জ্য ও বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে। নিয়মিত শসা খেলে কিডনির পাথরও গলে যায়।
> শরীরের বিভিন্ন ভিটামিনের শূন্যতা পূরণ করে শসা। বিশেষ করে প্রতিদিন শরীরে যেসব ভিটামিনের দরকার হয়, তার বেশিরভাগই শসার মধ্যে বিদ্যমান থাকে। ভিটামিন এ, বি ও সি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও শক্তি বাড়ায়।
> শসায় সিকোইসোলারিসিরেসিনোল, ল্যারিসিরেসিনোল ও পিনোরেসিনোল নামক তিনটি আয়ুর্বেদিক উপাদান আছে। যা জরায়ু, স্তন ও মূত্রগ্রন্থিসহ বিভিন্ন স্থানে ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।
> ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে শসায় থাকা পুষ্টিগুণ। এর পাশাপাশি শরীরের খারাপ কোলস্টেরল কমায় ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
> শরীরের ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা ঠিক রাখে শসা। এতে কিডনি থাকে সুস্থ ও সতেজ।