বুধহাটায় অতি বৃষ্টিতে প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করলেন ইউপি চেয়ারম্যান ডাবলু
আশাশুনি প্রতিনিধি:
আশাশুনি উপজেলার প্রাণকেন্দ্র বুধহাটা এলাকায় অতি বৃষ্টিতর প্লাবিত হয়ে আছে কয়েকটি এলাকা। ডুবে গেছে খাল, বিল, মৎস্যঘের, পুকুর এমনকি ভিটাবাড়ির উঠান। বৃহস্পতিবার প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করেন বুধহাটা ইউপি চেয়ারম্যান সহকারি অধ্যাপক মাহাবুবুল হক ডাবলু।
বুধহাটা গ্রামের কওমি মাদ্রাসা এলাকা থেকে স্লুইজগেট সংলগ্ন পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার পরিবারের বসবাস। একই সাথে বুধহাটা পশ্চিম পাড়ার নিচু এলাকায় আনুমানিক ৫ থেকে ৭০০ পরিবারের বসবাস। এছাড়া বুধহাটা ঋষিপাড়ায় প্রায় ৩০ টি পরিবারের বসবাস। বেতনা নদী খনন কাজের জন্য নদীতে বাঁধ দেওয়ায় জোয়ার ভাটা বন্ধ রয়েছে। ফলে অতি বৃষ্টির পানি নদীতে নিষ্কাশন করা সম্ভব হচ্ছে না। অতি বর্ষণের ফলে খাল-বিল প্লাবিত হয়ে লোকালয় প্লাবিত হচ্ছে। বৃষ্টির পানিতে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার ফলে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে কাঁচা পাকা ঘরবাড়ি, বৃষ্টির পানিতে ডুবে আছে কাঁচা পাকা টয়লেট, সুপ্রিয় পানি সরবরাহের টিউবওয়েল, গবাদি পশুর গোবরের খাদ ও গ্রাম অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা সড়ক। বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় গোবর ও টয়লেটের ময়লা পানিতে মিশে দূষিত পানিতে পরিণত হচ্ছে। ফলে পানি বাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষ।
স্থানীয় বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম বলেন, সুপ্রিয় পানির অভাবে ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হচ্ছে অনেকেই। গৃহবধূ মনোয়ারা খাতুন বলেন, জলমগ্ন হয়ে ধসে পড়েছে রান্নাঘর। বসত ঘরের ভিতরেও পানি। বাধ্য হয়ে অন্যত্র গিয়ে রান্না করতে হচ্ছে। পোকামাকড়ের ভয়ে সন্তানদের নিয়ে অসহায়ত্বের মত জীবনযাপন করছি। স্থানীয় বাসিন্দা রজব আলী বলেন, বুধহাটা পূর্বপাড়ায় অধিকাংশ নিম্নবিত্ত মানুষের বসবাস। বৃষ্টির পানি অতি দ্রুত লোকালয় থেকে নিষ্কাশন ব্যবস্থা না করলে এই এলাকার কাঁচা, আধা কাঁচা ঘরবাড়ি জলমগ্ন হয়ে ধসে পড়তে পারে। সরকারিভাবে চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা না করলে পানি বাহিত রোগে আক্রান্ত হতে পারে প্লাবিত এলাকার অধিকাংশ মানুষ।
বৃহস্পতিবার অতি বর্ষণে প্লাবিত হওয়া এলাকা পরিদর্শন করেন এবং পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা সচল রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে উদ্যোগ নেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বুধহাটা ইউপি চেয়ারম্যান সহকারি অধ্যাপক মাহবুবুর হক ডাবলু। এসময় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সংগঠনিক সম্পাদক রমজান আলী, যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক ইদ্রিস আলী, কৃষক লীগ সভাপতি আজহারুল ইসলাম, ইলেকট্রিশিয়ান রজব আলী, স্টালিন সরদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ইউপি চেয়ারম্যান মাহাবুবুল হক ডাবলু বলেন, কাওছারিয়া মাদ্রাসা ও ইউনিয়ন পরিষদে প্লাবিত এলাকার সাধারণ মানুষের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্লাবিত এলাকার মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা হবে এবং পানি নিষ্কাশনের জন্য চেষ্টা অব্যাহত আছে। অতি দ্রুত বুধহাটার প্লাবিত এলাকার মানুষ জলাবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষা পাবে বলে তিনি আশ্বস্থ করেন।