টাকার জন্য ভাগ্নেকে খুন করে অটোরিকশা বিক্রি করেন মামা
ডেস্ক নিউজ:
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে টাকার সংকটে পড়ে আপন ভাগ্নেকে গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর অটোরিকশা ছিনতাই করে বিক্রি করে দিয়েছেন মামা। এ ঘটনায় গ্রেফতারের পর পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন তিনি।
সিরাজদিখান থানার ওসি মুজাহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, গত সোমবার (২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে সিরাজদিখান উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের খাসকান্দি এলাকা থেকে পানিতে ভাসমান অবস্থায় অটোচালক নেকবর হোসেনের (২২) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি উপজেলার চর গুলগুলিয়া এলাকার মৃত শাহজাহান মিয়ার ছেলে। কোরআনে হাফেজ ছিলেন নিহত নেকবর। পরে মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হলে দাফন সম্পন্ন হয়। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মো. তোফাজ্জেল হোসেন সিরাজদিখান থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ জানায়, ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নিহত নেকবরের আপন মামা চর গুলগুলিয়া এলাকার মৃত আরাফাত আলীর পুত্র মো. জাবেদ (৩৭) ও তার ভাষ্য অনুযায়ী ঘটনায় সহযোগী হিসেবে একই এলাকার ভাড়াটিয়া ও যশোরের মনিরামপুর উপজেলার কাঠালতলী এলাকার মো. আলী আকবরের ছেলে মো. রেজাউলকে (২৭) গ্রেফতার করে। এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রশির সন্ধান মেলে।
পরে পুলিশের কাছে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে নিহত নেকবরের মামা মো. জাবেদ জানান, তিনি পেশায় অটো-মিশুকের মিস্ত্রি ও অপর আসামি রেজাউল চালক এবং এই সূত্রে আসামিদের মধ্যে সু-সম্পর্ক রয়েছে। নগদ অর্থের প্রয়োজনে দু’জনে মিলে পরিকল্পিতভাবে নেকবরকে হত্যা করে তার ব্যবহৃত অটোরিকশা ছিনিয়ে নিয়ে সিরাজদিখানের কৃষ্ণনগর এলাকার মৃত নুর ইসলামের পুত্র মো. শাহাজালালের (২৭) কাছে ৩৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। মামলায় তাকেও আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
পুলিশ আরও জানায়, ছিনতাইকৃত অটোচালকের ক্রেতা শাহজালালের দেওয়া তথ্যমতে নারায়ণগঞ্জ জেলার ডিগ্রীরচর এলাকা হতে ছিনতাইকৃত অটোর বিচ্ছিন্ন বেশ কিছু অংশ উদ্ধার করা হয়।
সিরাজদিখান থানার ওসি মুজাহিদুল ইসলাম জানান, আসামিদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।