মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তরিত হলো লিয়া, খুশি বাবা-মা

ডেস্ক নিউজ:
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় নাইমা আক্তার লিয়া নামের এক মাদরাসাছাত্রী মেয়ে থেকে হঠাৎ ছেলেতে রূপান্তরিত হয়েছে। গত বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) উপজেলার জোতবানী ইউনিয়নের কসবা সাগরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। কোনো অস্ত্রোপচার ছাড়াই লিয়ার এই শারীরিক পরিবর্তনে অবাক তার পরিবার ও এলাকাবাসী।

লিয়া ওই গ্রামের করম আলী ও পিয়ারা খাতুন দম্পতির সন্তান। সে স্থানীয় চত্বরপুর দাখিল মাদরাসার সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। এ ঘটনা নিশ্চিত করেছেন জোতবানী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য দছির উদ্দিন।

পরিবারের বরাত দিয়ে ইউপি সদস্য দছির উদ্দিন জানান, প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার রাতেও খাবার খেয়ে ঘুমাতে যায় লিয়া। বুধবার সকালে ২৭ সেপ্টেম্বর ঘুম থেকে উঠে হঠাৎ লিয়া তার শারীরকি পরিবর্তন লক্ষ্য করে। এই পরিবর্তনের কথা সে প্রথমে দাদিকে ও পরে মাকে জানায়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে তাকে দেখতে অসংখ্য মানুষ বাড়িতে ভিড় করে।

লিয়া বলে, মঙ্গলবার রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। বুধবার সকালে ঘুম থেকে উঠে হঠাৎ আমার শারীরিক পরিবর্তনগুলো খেয়াল করি। বুঝলাম আমি পুরুষে রুপান্তরিত হয়েছি। বিষয়টি আমি আমার দাদি ও মাকে জানাই।

লিয়ার দাদি রহিমা বিবি বলেন, আমার নাতনি তার শারীরিক পরিবর্তনের কথা আমাকে জানায়। আমি নিজে তার এ পরিবর্তন দেখেছি।

লিয়ার মা পিয়ারা খাতুন বলেন, আমাদের পরিবারে এক ছেলে এক মেয়ের মধ্যে লিয়া বড়। শারীরিক পরিবর্তনের কথা প্রথমে ওর দাদিকে ও পরে আমাকে জানায়। কথাটি শুনে প্রথমে আমি বিশ্বাস করি নাই। পরে দেখে বিশ্বাস করেছি।

বাবা করম আলী বলেন, আল্লাহতালার ইচ্ছায় আমার মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তরিত হয়েছে। এতে আমরা বাবা-মা খুশি। ওর নাম এখনো পরিবর্তন করা হয়নি। তবে তার পোশাক-পরিচ্ছেদ পরিবর্তন আনা হয়েছে।

এ বিষ‌য়ে দিনাজপুর সি‌ভিল সার্জন ডা. এ এইচ এম বোরহান-উল-ইসলাম সিদ্দিকী ব‌লেন, ঘটনাটি সচরাচর ঘ‌টে না। ত‌বে হরমোনজনিত কার‌ণে এমনটা হতে পারে। এখানে আইনী কিছু বিষ‌য়ও আছে। মে‌ডি‌কেল টিম গঠন ক‌রে বিষয়টি তদন্ত করতে হবে। এ ঘটনায় ওই পরিবারকে মেডিকেল সা‌র্টিফি‌কেট নেওয়ার পরামর্শ দেন সি‌ভিল সার্জন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)