শ্যামনগর থানা বিএনপির ৩৮ নেতা কর্মী ঢাকায় গ্রেপ্তার
রঘুনাথ খাঁ:
কেন্দ্রীয় কর্মসুচির অংশ হিসেবে ঢাকার মহাসমাবেশে যোগ দিতে যাওয়া শ্যামনগর উপজেলা বিএনপির ৩৮ নেতাকর্মী পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে। ২৯ জুলাই রাতে রাজধানীর আদাবরের বায়তুল আমান হাউজিংয়ের ১৩ নং রোডের একটি বাসা থেকে আদাবর থানা পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
এসময় সেখানে ৬৫ নেতাকর্মী অবস্থান করলেও পুলিশি অভিযানের পুর্ব মুহুর্তে খাওয়ার জন্য ২৭ জন অন্যত্র চলে যায়। গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের মধ্যে শ্যামনগর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি চেয়ারম্যান আমজাদুল ইসলাম, গাবুরা ইউনিয়ন যুবদল আহবায়ক মাহমুদ, ভুরুলিয়া ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক রফিকুল ইসলাম, সদস্য আজি মোল্যা, পদ্মপুকুর ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব ইউসুফ আলী, নুরনগর ইউনিয়ন যুবদল সদস্য সচিব রেজাউল করিম, যুগ্ম-আহবায়ক সোহেল মাহমুদ, স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আবু মুছা ছাড়াও উপজেলা কৃষক ও ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ রয়েছে। এঘটনায় আদাবর থানার উপ-পরিদর্শক মাধব চৌধুরী বাদি হয়ে ১৯৭৪ সালেল বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩)২৫ ধারায় আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা (মামলা নং ৩৬)করেন। উক্ত মামলায় স্থানীয় আরও ৪০ জন বিএনপির নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়।
উক্ত মামলায় পলাতক ও গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা রাষ্ট্রের শান্তি-শৃংখলা বিঘœসহ ধ্বংস্বাত্বক কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য সমবেত হয়েছিল বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
শ্যামনগর উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক সোলায়মান কবীর জানান এম মনিরুজ্জামানের পক্ষ থেকে শ্যামনগর ও কালিগঞ্জ বিএনপি এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের প্রায় চারশ নেতাকর্মী মহাসমাবেশে যোগ দিতে ঢাকায় যায়। তবে একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া ৩৮ নেতাকর্মীকে পুলিশ শনিবার কেরানীগঞ্জ কারাগারে পাঠিয়ে দেয়। আগামী সোমবার এসব নেতাকর্মীর জামিন আবেদন নিয়ে তারা আদালতে যাবেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকোর মোঃ জুবায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
Please follow and like us: