বীজওয়ালা কলা বেশি পুষ্টিকর

লাইফস্টাইল ডেস্ক:

পাকা কলায় তো বীজই খুঁজে পাওয়া যায় না। কিন্ত বহু ধরনের কলার প্রজাতি রয়েছে, যে কলাতে প্রচুর পরিমাণে বীজ থাকে পেকে যাওয়ার পরেও। এই ধরনের কলাকে এটে কলা, আইট্টা কলা, বাইশ্যা কলা বা বিচি কলা বলা হয়।

কলার এই প্রজাতির উৎপত্তি এশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে। কিন্তু বর্তমানে আমাদের দেশের প্রায় সর্বত্রই এই কলার আধিপত্য দেখা যায়। এই ধরনের কলা খাওয়ার সময়ে অস্বস্তি হয়। বার বার সেই বীজ মুখ থেকে বার করে ফেলতে হয়। কিন্তু এই ধরনের কলা খেলে কী হয়? এগুলি কি স্বাস্থ্যের উপর কোনো প্রভাব ফেলে? অনেকে মনে করেন, এই ধরনের কলার উপকারিতা বেশি।

বিজওয়ালা কলায় প্রচুর পরিমাণে শর্করা রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন প্রকার ভিটামিনও থাকে এতে। ভিটামিন এ, বি৬, সি এবং ডি-র অসাধারণ উৎস এই ধরনের কলা। এছাড়াও এটি পটাশিয়ামের দারুণ উৎস। একজন মানুষের দৈনিক প্রয়োজনের ২৩ শতাংশ পটাশিয়াম এই জাতীয় একটি কলা থেকেই পাওয়া যায়। পটাশিয়াম পেশির উপকার করে। কলার পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং স্ট্রোকের আশঙ্কা কমায়। শারীরিক ও মানসিক কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় ভিটামিন বি৬-এর ৪১ শতাংশই থাকে এমন একটি কলায়।

এই জাতীয় কলায় প্রচুর আয়রন থাকে। থাকে ক্যালসিয়াম, নাইট্রোজেন এবং ফসফরাসও। যা শরীরে স্বাস্থ্যকর টিস্যু গঠনে কাজ করে। পাশাপাশি কলার বীজের মিউসিলেজ ডায়রিয়া প্রতিরোধ করে। পেটের সমস্যা কমায়। এর খোসা ও পাল্পে ছত্রাক বিরোধী ও অ্যান্টিবায়োটিক গুণাবলি থাকে।

আলসারের সমস্যা ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে নিয়মিতভাবে এই জাতীয় কলা খেতে পারেন। এই বীজযুক্ত কলার খোসা পেস্ট করে যদি আমরা খেতে পারি, তাহলেও আলসারের মতো মারাত্মক সমস্যা থেকে দূরে থাকতে পারবো।

যারা কৃমির সমস্যায় কষ্ট পাচ্ছেন, তারা এই জাতীয় কলা প্রতিষেধক হিসেবে খেতে পারেন। এই জাতীয় কলায় থাকা পটাশিয়াম এবং ক্যালসিয়াম আমাদের কৃমিজনিত সমস্যা সমাধানে কাজ করে। ফলে বোঝা গেল, কেন সাধারণ কলার চেয়ে বীজযুক্ত কলা তুলনামূলকভাবে বেশি ভালো।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)