তালায় রাজাকার পুত্রকে ম্যারেজ রেজিষ্টার নিয়োগের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিনিধি:
সরকারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মোটাঅংকের অর্থের বিনিময়ে সাতক্ষীরা তালা উপজেলায় এক রাজকার পুত্রকে ম্যারেজ রেজিষ্টার পদে নিয়োগ প্রদানের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার প্রতিকার চেয়ে সংক্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সহ জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেও কোন ফল প্রসু হয়নি বলে জানান স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সহ এলাকাবাসী। অভিযুক্ত রাজাকার পুত্র তালা উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের মৃত লুৎফর রহমান শেখের ছেলে ফরিকুল ইসলাম।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২১সালে ২৯ডিসেম্বর তালা উপজেলা প্রশাসনের বিজ্ঞপ্তিতে তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন ম্যারেজ রেজিষ্টার পদ শূন্য ঘোষনা করা হয়। পরবর্তীত ২০২২ সালের ১৩এপ্রিল নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে নিয়োগ বোর্ডের অসাধুকর্মকর্তার রাজকার পুত্রকে চলতি বছরের ১৮মে তাকে নিয়োগ প্রদান করে সংক্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।বিষয়টি নিয়ে ইতিপূর্বে স্থানীয় ইউপি সদস্য মশিয়ার রহমান, মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন, সহ আইনমন্ত্রনালয় সহ সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করলে অদৃশ্য কারনে প্রতিকার মেলেনি।
তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নজিরউদ্দীন মোড়ল জানান,তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের শিরাশুনি গ্রামের সদ্য নিয়োগ প্রাপ্ত ম্যারেজ রেজিষ্টার ফরিকুলের বাবা লুৎফর রহমান শেখ সরকারী তালিকা ভুক্তরাজাকার ছিলেন। বিষয়টি নিয়ে নিয়ে আমি জেলা প্রশাসক সহ আইন মন্ত্রনালয়ে জানিয়েছি কিন্তু কোন ফল হয়নি।
নাম না জানানোর শর্তে তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের এক ইউপি সদস্য জানান, তেতুলিয়া ম্যারেজ রেজিষ্টার পদে সদস্য নিয়োগ প্রাপ্ত ফরিকুলের বাবা লুৎফর রহমান শেখ সরকারী তালিকা ভুক্ত রাজাকার ছিলেন।তার পরিবার পরিজন সকলে বিএন পি ও জামায়তের রাজনীতির সাথে জড়িত। আজ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম তাকে মিথ্যা প্রত্যায়ন দিয়ে ও মোটাঅংকের অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ বোর্ডের অসাধুকর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে তাকে নিয়োগ প্রদান করেছে এটা ইতিহাস হয়ে থাকবে। বিষয়টি নিয়ে আমারা ইতিপূর্বে সংক্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি কোন ফল পায়নি। বাধ্য হয়ে তাই মহামান্য হাইকোর্টে রিট করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এবিষয়ে অভিযুক্ত ফরিকুল ইসলাম জানান, একটি কুচক্রীর মহলের আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য মিথ্যা রাজাকারে তালিকা বানিয়ে ঝামেলা সৃষ্টি করে আসছে। তারা যে তালিকা দেখিয়ে ঝামেলার সৃষ্টি করছে সেটি ভূয়া বলে তিনি দাবী করেন। এছাড়া আমি দীর্ঘদিন যাবত আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত রয়েছি যে তদন্ত করলে আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন। ইতিপূর্বে তারা আমাকে রাজকার পুত্র বানিয়ে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ দিয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসন তদন্ত করেছে পরে আমাকে ম্যারেজ রেজিষ্টার হিসাবে নিয়োগ দিয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে নিয়োগ বোর্ডের সদস্য সচিব ও ইসলামকাটি সাবরেজিস্টার মাইনুল হকে সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি মুঠোফোনটি রিসিভ করেন নি। এবিষয়ে নিয়োগবোর্ডের প্রধান উপদেষ্টা ও সাতক্ষীরা -১আসনের সংসদ সদস্য এড.মোস্তাফা লুৎফুল্লাহ জানান, রাজাকারের পুত্রের অভিযোগের বিষয়টা তিনি শুনেছেন। বিষয়টি প্রশাসনের গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করেছে। ঘটনার সত্যতা না পাওয়ার কারনে তাকে তালিকা করে আইনমন্ত্রনালয় পাঠানো হয়েছিল কর্তৃপক্ষ পক্ষ তাকে নিয়োগ প্রদান করেছেন।