সুইপার কলোনির আগুনের ঘটনায় ছেলে-বউয়ের পর মায়ের মৃত্যু
অনলাইন ডেস্ক:
রাজধানীর ওয়ারীর সুইপার কলোনিতে আগুনের ঘটনায় ছেলের বউ ও ছেলের পর মারা গেলেন মা কান্তা রানী (৬০)।
শনিবার (১৫ এপ্রিল) রাত ১২টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
সময় সংবাদকে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইউব হোসেন। তিনি জানান, কান্তা রানীর শরীরে ১৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। এ ছাড়া সেপটিসেমিয়ায়ও আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি।
এর আগে গত ২৭ মার্চ রাত সাড়ে ৩টার দিকে ওয়ারীর সুইপার কলোনিতে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভোর ৫টার দিকে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা দগ্ধ ৭ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
দগ্ধরা হলেন: রাজু বসাক (৩৬), তার স্ত্রী শান্তি রানী দাস (২৭), মা কান্তা রানী (৬০), দুই ছেলে কৃষ্ণ দাস (৭) ও লক্ষণ দাস (৩)।
আর প্রতিবেশী গীতা রানী দে (৬৫) ও আফজাল (৫২)।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২ এপ্রিল মারা যান কান্তা রানীর ছেলের বউ শান্তি রানি দাস (২৭)। আর ৩১ মার্চ মারা যান তার ছেলে রাজু বসাক (৩৬)।
এখনও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন রাজুর দুই ছেলে কৃষ্ণ ও লক্ষণ দাস।
মৃত রাজুর ভাতিজা হেরাম শেট্টি শিবা জানান, তারা সুইপারের কাজ করেন। থাকেন ওয়ারী জয়কালি মন্দিরসংলগ্ন হানিফ ফ্লাইওভার ব্রিজের নিজে গড়ে তোলা কলোনিতে। ওইদিন ভোরে সেখানে আগুন লাগার পর তারা দগ্ধ হন।
তিনি জানান, দুর্ঘটনার কিছুদিন আগে কলোনির ঘরগুলোর নিচে ওয়াসা তাদের লাইন মেরামতের কাজ করে। এরপর থেকে রাজুর ঘরে নিচ থেকে গ্যাস বের হতো। গ্যাসের প্রচুর গন্ধ বের হতো। সেই গ্যাস থেকেই আগুন লেগেছে বলে ধারণা তার।