কাদাকাটি টেকা রামচন্দ্রপুর নষ্ট ইটের সোলিংয়ের রাস্তা সংস্কার দাবি
জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি (সাতক্ষীরা) :
আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি ইউনিয়নের টেকা রামচন্দ্রপুর মরিচ্চাপ নদী সংলগ্ন ইটের সোলিং রাস্তার ইট ছড়িয়ে ছিটিয়ে যাওয়ায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে যানবাহন ও পথচারীদের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে।
সড়কের আব্দুল্লাদের বাড়ি থেকে টেকাকাশিপুর একরামুলের মুূদি দোকান পর্যন্ত ইটের ও সিদ্দিক সানার বাড়ি পর্যন্ত পিচের রাস্তা ওয়াপদা রাস্তার সঙ্গে মিশে গেছে। এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ যাতায়াত ও যানবাহনে মালামাল বহন করে থাকে। কয়েকদিন আগে চলমান রাস্তার কর্মসূচির কাজ করানোর সময়, দায়সারা গোছের এক চাপ করে মাটি দেওয়া হয়। পুরো রাস্তাটি এখন এতটাই নষ্ট হয়ে আছে যে, যানবাহন চলাচল কষ্টকর ও পথচারীদের জন্য স্বাভাবিক ভাবে চলাচল করা অসম্বব হয়ে পড়েছে।
কাদাকাটি ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা আসিফ ইকবাল রিপন উপরোক্ত বর্ণনার সাথে একমত পোষণ করে বলেন, অবিলম্বে রাস্তাটি সংস্কার কাজ করা না হলে কাদাকাটি ও দরগাহপুর ইউনিয়নের মানুষসহ আশপাশের মানুষকে ভিন্ন পথে চলাচল করা ছাড়া উপায় থাকবে না। পথের উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল মানুষদের কথা বিবেচরা করে বর্ষা মৌসুমের আগেই রাস্তার সংস্কার কাজ করার জন্য তিনি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবী জানান।
কাদাকাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান দীপঙ্কর কুমার সরকার দীপ জানান, সরকারি বরাদ্দ না থাকলেও আমার নিজস্ব অর্থায়নে রাস্তার সংস্কার কাজ করেছি। ইট উঠে রাস্তার অবস্থা এমনই হয়ে গেছে যেকোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তাছাড়া রাস্তাটা এতটাই ছোট যে দুটো ভ্যানও ক্রস করতে পারে না। রাস্তার সাইডে মাটি না থাকায় এজিং এর ইটগুলো খুলে পড়ে যাচ্ছে। অনেক স্থানে এলোমেলোভাবে ইট পড়ে আছে। মরিচ্চাপ নদীর জোয়ারের উপচে পড়া পানি প্রভাবে এবং ইট বোঝাই ট্রলী, ইঞ্জিন ভ্যান চলার কারণে রাস্তার এ বেহাল দশা হয়েছে বলে তিনি জানান।
রাস্তা প্রশস্তকরন ও নদীর সাইট দিয়ে ন্যুনতম তিন ফুট হাইট ও তিন ফুট চওড়া মাটির কাজ করে নদীর পানি প্রভাব ঠেকানোর জন্য টেঁকসই কাজের পাশাপাশি পাকা ইটের রাস্তাটি সংস্কার করে এলাকায় পানি বৃদ্ধি রোধ ও দুর্ঘটনার হাত থেকে পথচারীদের রক্ষা করতে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।