৬৬ রানের সেশন
অনলাইন ডেস্ক:
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে একমাত্র টেস্টে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড। তৃতীয় দিনের প্রথম সেশন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট হারিয়ে ৯৩ রান করেছে আইরিশরা। প্রথম ইনিংসে ২১৪ রানে অলআউট হয়েছিল সফরকারীরা, বাংলাদেশ করেছিল ৩৬৯ রান।
দ্বিতীয় দিনের শেষ বিকেলে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের শুরু থেকেই চাপে পড়ে আয়ারল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে ৬৬তম ওভারে বোলিংয়ে এসেছিলেন সাকিব, দ্বিতীয়টিতে আসেন প্রথম ওভারেই। চতুর্থ বলে উদ্বোধনী ব্যাটার জেমস ম্যাককালামকে শূন্য রানে সাজঘরে ফেরান তিনি। আরেক উদ্বোধনী ব্যাটার মুরে কামিন্সও বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি।
১২ বলে ১ রান করে তাইজুল ইসলামের বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি। ৭ রানে দুই উইকেট হারানো পর আইরিশদের চাপ আরও বাড়ে অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবার্নি ফিরলে। ১২ বলে ৩ রান করে সাজঘরে ফেরত যান তিনি। তাইজুলের ইসলামের বলে তিনি হন বোল্ড। পরে ৪ বলে ১ রান করে সাকিবের বলে আউট হন কার্টিস ক্যাম্পার। ১৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে আয়ারল্যান্ড।
এরপর থেকে আইরিশদের ইনিংস এগিয়ে নিচ্ছেন পিটার মুর ও হ্যারি টেক্টর। দ্বিতীয় দিনে কোনো বিপদ ছাড়াই শেষ করেন তারা। এ দুজন তৃতীয় দিনের সকালটাও সামলেছেন দারুণভাবে। মাঝে দুয়েকটি বলে ভুগতে হলেও রিভার্স সুইপ করছেন, লগ অন দিয়ে ছক্কা মেরেছেন তারা।
দুজনের জুটিতে রান কম এলেও আশা বাড়ছিল আয়ারল্যান্ডের। কিন্তু শরিফুল ইসলামের বলে ধৈর্যহারা হন পিটার মুর। এই পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট চালাতে গিয়ে উইকেটরক্ষক লিটন দাসের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। ৩ চারে ৭৮ বল খেলে ১৬ রান করে সাজঘরে ফেরত যান মুর। ভাঙে টেক্টরের সঙ্গে তার ১৫৪ বলে ৩৮ রানের জুটি।
জুটি ভাঙলেও পথ হারায়নি আয়ারল্যান্ড। টেক্টরের সঙ্গী হয়ে দারুণ খেলছেন লরকান টাকারও। তিনি হচ্ছেন কিছুটা আক্রমণাত্মক হয়েও। এবাদত হোসেনের ‘শর্ট বলের’ ফাঁদ তিনি পুল করে সামলেছেন। লাঞ্চের বিরতি অবধি ৪ চারে ৪৩ বলে ২৪ রান টাকারের। ৫ চার ও ১ ছক্কায় ১৩২ বলে ৪৩ রান করেছেন টেক্টর।