১৫ কোটি টাকার লটারি জিতে জানালেন না স্ত্রীকে, প্রাক্তনকে উপহার দিলেন ফ্ল্যাট!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
স্ত্রীর কাছ থেকে লটারি জেতার কথা গোপন করেছেন। আবার, সেই টাকায় প্রাক্তন স্ত্রীকে কিনে দিয়েছেন ফ্ল্যাট। এমনটাই অভিযোগ যুবকের বিরুদ্ধে। যে কথা জানাজানি হতেই সংসারে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বিবাহবিচ্ছেদ চেয়ে সটান আদালতে হাজির হয়েছেন যুবকের স্ত্রী।
ঘটনাটি চীনের ঝেঝিয়াং প্রদেশের। যুবকের নাম ঝৌ।
চীনা সংবাদপত্র সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বছর দুয়েক আগে মোটা টাকার লটারি জিতেছিলেন ঝৌ। লটারির মূল্য ছিল ১০ মিলিয়ন ইউয়ান (চীনা মুদ্রা)। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার মূল্য ১৫ কোটি ৬৯ লাখ টাকারও বেশি। কর বাদ দিয়ে ১৩ কোটি ২৩ লক্ষ টাকা তিনি হাতে পেয়েছিলেন। কিন্তু এই লটারি জেতার পর নিজের স্ত্রীকেই সে কথা জানাননি যুবক।
লটারির টাকা থেকে নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী খরচ করতেন তিনি। কিন্তু টাকার উৎসের কথা কখনও জানতে পারতেন না তার স্ত্রী লিন। অভিযোগ, স্ত্রীকে না জানালেও নিজের প্রাক্তন স্ত্রীকে লটারি জেতার কথা জানিয়েছিলেন ওই যুবক। প্রাক্তনকে ফ্ল্যাট কেনার জন্য টাকাও দিয়েছিলেন। এমনকি নিজের বড় বোনকেও টাকা দিয়েছিলেন।
যুবকের স্ত্রী জানিয়েছেন, লটারির টাকা হাতে পাওয়ার পর বোনকে ৩ কোটি টাকা দিয়েছিলেন যুবক। তার কিছু দিনের মধ্যে প্রায় ১ কোটি টাকা দিয়েছিলেন প্রাক্তন স্ত্রীকে। বর্তমান সহধর্মিণীকে না জানিয়েই এ কাজ তিনি করেছেন।
বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলাকালীন আদালতে যুবকের স্ত্রী দাবি করেন, তাদের যৌথ সম্পত্তি দু’জনের মধ্যে সমান ভাগে ভাগ করে দিতে হবে। এছাড়া, স্ত্রীর আরো দাবি ছিল, যে পরিমাণ টাকার কথা গোপন করে দিদি আর প্রাক্তনকে সাহায্য করেছেন যুবক, তার দুই তৃতীয়াংশ ক্ষতিপূরণ হিসাবে দিতে হবে তাকে।
মামলা চলাকালীন আদালতের পর্যবেক্ষণ, যুবক স্ত্রীকে না জানিয়ে যে টাকা বোন এবং প্রাক্তন স্ত্রীকে দিয়েছেন, তা দম্পতির যুগ্ম অ্যাকাউন্ট থেকে তোলা হয়েছে। এর পরেই লুকোনো টাকার ৬০ শতাংশ স্ত্রীকে দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।
ভালোবাসা দিবসে এমন খবর চীনা সংবাদমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যুবকের কীর্তি দেখে নেটাগরিকেরা নানা মন্তব্য করেছেন। কেউ বলেছেন, ‘‘এই জন্যই আমি বিয়ে করছি না।’’ কেউ আবার বলেছেন, “১২ কোটি টাকা এই দু’টি মানুষের মধ্যে কত ব্যবধান তৈরি করে দিল!’’