যশোরে আদালতেই ধর্ষণ মামলার আসামির সঙ্গে বাদীর বিয়ে
নিউজ ডেস্ক:
যশোরে ধর্ষণ মামলার এক আসামিকে বিয়ের শর্তে জামিন দিয়েছে আদালত। জামিন শুনানিতে দুই পক্ষের উপস্থিতিতে ও তাদের সম্মতিতে এ আদেশ দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ কবির উদ্দিন প্রামাণিক। পরে পিপির তত্ত্বাবধানে হাজত খানায় পাঁচ লাখ টাকার দেনমোহরে বিয়ে শেষ হয়। এরপর দুইপক্ষ একত্রিত হয়ে আদালত প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন। ব্যতিক্রমী এ আদেশে আলোড়ন সৃষ্টি হয় আদালত পাড়ায়। তারা এ ধরণের আদেশে সাধুবাদ জানান।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি এক নারী মণিরামপুর থানায় এক যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেন। মামলায় বলা হয়- তার নিকট এক আত্মীয়র মাধ্যমে আসামির সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ের কথা হয়। পরে দুইজনের সঙ্গে কথাবার্তা চলতে থাকে। এরমধ্যে ওই যুবক তাকে যশোরের একটি হোটেলে এনে শারীরিক সম্পর্ক করে। এরপর থেকে বিভিন্ন স্থানে তারা শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন তারা। কিন্তু তারপর বিয়ের কথা বললেই নানা তালবাহানা করতে থাকেন ওই যুবক। একপর্যায় ওই নারীকে বিয়ে করবে না বলে জানিয়ে দেয় ওই যুবক।
পরে ওই নারী বাধ্য হয়ে মণিরামপুর থানায় ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেন। পরদিন ৫ জানুয়ারি ওই যুবককে আটক করে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। ওই যুবক আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন জানান। আদালত রোববার দুই পক্ষের উপস্থিতিতে শুনানির দিন ধার্য করেন। রোববার আদালত বাদী ও বিবাদীর বক্তব্য শোনেন। আসামি ওই নারীকে বিয়ের আশ্বাস দেন। এ সময় বাদী পক্ষও সে প্রস্তাবে রাজি হন। পরে বিয়ের শর্তে আদালত ওই আসামির জামিন মঞ্জুর করেন।
পিপি এম ইদ্রিস আলম বলেন, আসামি ও বাদী দুইজনেই পূর্ণ বয়স্ক। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী দুপুরেই কাজী ডাকা হয়। সেসময় আসামি পক্ষের আইনজীবীও উপস্থিত ছিলেন। এ সময় হাজত খানায় ছিলো আসামি। তার রুমে ছিলো বাদী। কাজী হাজত খানায় গিয়ে কাবিন নামায় আসামির স্বাক্ষর করিয়ে আনেন। দুই পক্ষের স্বজনরা তখন হাজত খানার সামনেই ছিলেন। বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার পর ছেলে জামিনে মুক্তি পান। এরপর দুই পক্ষই একসঙ্গে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী এমএ গফুর বলেন, আদালতের এ আদেশে খুশি বাদী ও তার স্বজনরা।