‘শীর্ষ ধনী’ পরিচয়ে ৬ বিয়ে, সর্বনাশের পর দিতেন চম্পট
নিউজ ডেস্কঃ
জয়পুরহাটে প্রতারণার মাধ্যমে ছয়টি বিয়ে করে টাকা-স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেয়া প্রতারক চক্রের মূলহোতা মেহেদী হাসানকে আটক করেছে র্যাব। একই সঙ্গে পাঁচ ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাব-৫, সিপিসি-৩ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোস্তফা জামান। আটক ২৮ বছর বয়সী মেহেদী জয়পুরহাট সদর উপজেলার পাঞ্চাতীপাড়া কেন্দুলী গ্রামের আব্দুল আলীমের ছেলে।
র্যাব কর্মকর্তা মোস্তফা জামান বলেন, নিজেদের ঠিকাদার, ইজারাদার ও বিত্তশালী বা শীর্ষ ধনীর পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় একাধিক বিয়ে করেন মেহেদী, লতিফ ও মিন্টু। এরপর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের কাজ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে এলাকা ছাড়েন তারা। পরে আরেক এলাকায় গিয়ে একই কাজ করেন। এছাড়া তিনজনই পরস্পর যোগসাজশে একে অপরের ভাই বা আত্মীয় কিংবা সাক্ষী হিসেবে পরিচয় দিতেন। ২০ জানুয়ারি র্যাবের কাছে স্বামীর বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ করেন মেহেদীর কথিত পঞ্চম স্ত্রী।
মোস্তফা জামান বলেন, ২৬ জানুয়ারি বেলা ১১ টার দিকে র্যাবের কাছে ফোন করেন মেহেদীর পঞ্চম স্ত্রী। মেহেদী ও তার সহযোগীরা মিলে ষষ্ঠ শ্বশুরবাড়ি জয়পুরহাট সদর উপজেলার জামালপুর এলাকায় বোন, ভাগনে ও মাকে আটকে রেখে নির্যাতন করছেন বলে ফোনে জানান তিনি। এরপর ঘটনাস্থলে গিয়ে মেহেদীকে আটক ও তার কথিত পঞ্চম স্ত্রীর দুই সন্তান ও শাশুড়িকে উদ্ধার করে র্যাব। তবে প্রতারক চক্রের সদস্য লতিফ ও মিন্টু র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান।