‘শারীরিক সম্পর্ক করেছে তুষার, বিয়ে না করলে যা করবে ভুক্তভোগী’
নিউজ ডেস্ক:
তুষারের সঙ্গে দীর্ঘদিনের প্রেম তরুণীর। সেই প্রেমের জেরে বিভিন্ন সময় প্রেমিক তুষারের সঙ্গে ঘুরতেও গিয়েছিলেন ঐ তরুণী। একপর্যায়ে বিয়ের কথা বলে শারীরিক সম্পর্ক করেন তুষার। পরে বিয়ের কথা বললে প্রেমিক জানান তার পরিবার রাজি না। এরপর গত বৃহস্পতিবার বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নেন ঐ তরুণী। বিয়ে না হলে আত্মহত্যা করব বলেও জানান ঐ তরুণী।
ঘটনাটি ঘটেছে পাবনার সুজানগর উপজেলার ভায়না ইউনিয়নের সাহাপুর গ্রামে। তবে বাড়ি থেকে লাপাত্তা প্রেমিক ও তার পরিবার। অভিযুক্ত প্রেমিক হোসেন উদ্দিন খা ওরফে তুষার সাহাপুর গ্রামের তফিজ উদ্দিনের ছেলে। গত বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন।
ঐ তরুণী বলেন, আমাদের এলাকায় আসা-যাওয়া আছে তুষারের। সেখান থেকে পরিচয়। পরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ৪ বছর থেকে আমরা পাবনা শহর ও সুজানগরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরতে গেছি। সে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেছে।
তিনি আরো বলেন, ‘গভীর সম্পর্কের পর আমি তাকে (তুষার) বিয়ের কথা বলায় সে তার পরিবারের কথা জানায়। তবে তার পরিবার রাজি না হওয়ায় আমাকে তার বাড়িতে আসতে বলে তুষার। গত বৃহস্পতিবার আমি তার বাড়িতে আসি। এরপর তাকে বাড়ি থেকে অন্য কোথাও নিয়ে গেছে তার মা-বাবা। এখন প্রতিশ্রুতি মত আমাদের বিয়ে না হলে আমি আত্মহত্যা করব।’
অভিযুক্ত প্রেমিক হোসেন উদ্দিন তুষারের বাবা তফিজ উদ্দিন বলেন, আমি তাদের সম্পর্কের বিষয়ে কিছুই জানি না। এখন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।
ভায়না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিন বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি । কিন্তু কোনো পক্ষই আমার কাছে আসেনি। যেহেতু কেউই আমার কাছে অভিযোগ নিয়ে আসেনি, সেহেতু আমার এখানে কিছুই করার নেই।
সুজানগর থানার ওসি আব্দুল হান্নান বলেন, আমরা মেয়েটিকে উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে তুলে দিয়েছিলাম। মেয়েটি অপ্রাপ্তবয়স্ক, তাই তার দাবির বিষয়ে আইনি কোনো ভিত্তি নেই। এখন মেয়ে আবার ঐ ছেলেটির বাড়িতে গিয়েছে কিনা, তা জানা নেই।