কলারোয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় সাফাই সাক্ষ্য
নিজস্ব প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরায় কলারোয়ায় সাবেক বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের দু’টি মামলায় সাফাই সাক্ষ্য দিয়েছেন এক আসামীর পিতা। মঙ্গলবার ২৩ জন সাফাই সাক্ষীর মধ্যে প্রথম সাক্ষ্য দেন আসামী আব্দুর রাকিবের পিতা কলারোয়ার গোলাম মোস্তফা।
আগামী ১৬ জানুয়ারি সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে। সাতক্ষীরার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল -৩ এর বিচারক বিশ্বনাথ মন্ডলের আদালতে এ সাক্ষ্য-গ্রহণ শুরু হয়। এর আগে সাতক্ষীরা জেলা কারাগার থেকে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৩৯ জন আসামীকে আদালতের কাঠগড়ায় হাজির করানো হয়।
সাতক্ষীরা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফ জানান, সকাল সাড়ে ১০টায় সাতক্ষীরার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিজ্ঞ বিচারক বিশ^নাথ মন্ডলের আদালতে আসামী পক্ষের সাফাই সাক্ষী শুরু হয়। আজ আসামী পক্ষের একজন সাফাই সাক্ষী দিয়েছেন। এ মামলায় ২৩ জন সাফাই সাক্ষী দেবেন বলে রাষ্ট্র-পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তাদেরকে রাষ্ট্র-পক্ষ থেকে জেরা করবেন পিপিসহ তার সহযোগী আইনজীবীরা।
এ সময় আসামী পক্ষে ছিলেন অ্যাড. আব্দুল মজিদ,শাহানা আক্তার বকুল প্রমুখ।
প্রসঙ্গত :
২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সকাল ১০টায় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীকে দেখতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে আসেন। সেখান থেকে যশোরে ফিরে যাওয়ার পথে সকাল ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে কলারোয়ায় বিএনপি’র অফিসের সামনে একটি যাত্রীবাহী বাস রাস্তার উপরে আড় করে দিয়ে তার গাড়ি বহরে হামলা চালানো হয়।
হামলায় আওয়ামী লীগের ১ ডজন নেতা-কর্মী আহত হন। এ-ঘটনায় দায়ের করা হামলা মামলায় ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তালা-কলারোয়ার বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জন নেতা-কর্মীকে চার থেকে ১০ বছর মেয়াদে সাজা প্রদান করেন সাতক্ষীরার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবির। এর মধ্যে নয়জন আসামী পলাতক রয়েছেন ও দুই জন মারা গেছেন। গত ১৪ জুন অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনের অপর দুটি মামলায় চার্জ গঠন করা হয়।