বাংলাদেশ-ভুটান-নেপালের প্রবেশদ্বার পশ্চিমবঙ্গ: মমতা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যকে বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের গেটওয়ে বা প্রবেশদ্বার হিসেবে উল্লেখ করেছেন রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার (৯ জানুয়ারি) রাজ্যটির রাজধানী কলকাতায় জি-২০ সম্মেলনের আলোচনা সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন। ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্ট।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জি-২০ সম্মেলনের আলোচনা সভার উদ্বোধন উপলক্ষে কলকাতার নিউটাউনে বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সোমবার ভাষণ দেন মমতা। সেখানে তিনি বলেন, ধর্ম, বর্ণ এবং ভাষার পার্থক্য সত্ত্বেও ভারত ঐক্যবদ্ধ রয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রতিনিধিদের স্বাগত জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, পশ্চিমবঙ্গ ভৌগলিকভাবে বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি রাজ্য। কারণ আমাদের রাজ্যটি উত্তর-পূর্ব ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, থাইল্যান্ড এবং মিয়ানমারসহ আরও কয়েকটি রাজ্য ও দেশের প্রবেশদ্বার।
তিনি বলেন, ‘সমগ্র বিশ্বই আমাদের মাতৃভূমি। এখানকার মানুষ অন্য দেশগুলোর মধ্যে কোনও বৈষম্য করে না… এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা আমাদের পরিবারের সদস্য।’
গত বছর তৃতীয় মেয়াদে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ক্ষমতায় আসা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, করোনা মহামারির জেরে সৃষ্ট অর্থনৈতিক অস্থিরতা সত্ত্বেও ১২ মিলিয়ন কর্মসংস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। যার বেশিরভাগই এমএসএমই সেক্টরে।
মমতার ভাষায়, ‘আমরা কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পেরেছি, আমাদের জিডিপি চারগুণ বৃদ্ধি করতে পেরেছি, যার প্রধান কারণ আমরা নারী, ক্ষুদ্র শিল্প, কৃষক এবং যুবকদের ক্ষমতায়ন করেছি। আমরা ক্ষুধার বিরুদ্ধে লড়াই করছি এবং দরিদ্রদের বিনামূল্যে খাবার সরবরাহ করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সুফল যাতে মানুষ পায় তা নিশ্চিত করতে আমরা ‘আপনার দোরগোড়ায় সরকার’ (দুয়ারে সরকার) কর্মসূচি চালু করেছি। এই কর্মসূচি জাতীয় পুরস্কার জিতেছে।’
পশ্চিমবঙ্গের ভৌগলিক অবস্থানগত সুবিধা তুলে ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এখানে শিল্প ও পর্যটন বাণিজ্যের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। আর তাই বিনিয়োগকারীদের পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
তিন দিনব্যাপী এই জি২০ ইভেন্ট চলবে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। সোমবার সম্মেলনের প্রথম দিনের আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল ‘ডিজিটাল ফাইনান্সিয়াল সিস্টেম’। এছাড়া তিন দিনের এই সম্মেলন রেমিট্যান্স খরচ এবং এসএমই ফাইন্যান্স প্রাপ্যতার ওপরও ফোকাস করবে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
বিশ্বব্যাংক, মনিটারি অথরিটি অব সিঙ্গাপুর, ফ্রান্স এবং এস্তোনিয়ার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ১২ জন আন্তর্জাতিক বক্তা এই জি২০ সভায় যোগ দিচ্ছেন।