পরকীয়া প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে হত্যা করেন স্ত্রী

নিউজ ডেস্কঃ

সুনামগঞ্জের ছাতকে আলোচিত বারকি শ্রমিক আবুল হোসেন হত্যার রহস্যের জট খুলেছে। এই হত্যা মামলার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেওয়ায় মামলার বাদী আবুল হোসেনের স্ত্রী সবতুন বেগম এখন কারাগারে। মামলার বাদীর সঙ্গে নিহত আবুলের ছোট ভাই আলী হোসেনকেও গ্রেফতার দেখানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মূলত পরকীয়ার জেরেই পরিকল্পিতভাবে স্বামীকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করেন স্ত্রী।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার উপ-পরিদর্শক গোলাম ফাত্তাহ মুর্শেদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, আবুল হোসেনকে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী হত্যার পর তার স্ত্রী সবতুন বেগম ও তার পরকীয়া প্রেমিক সাবুল মিয়াসহ কয়েকজন মিলে তার লাশ রোয়া বিলের পাশে ফেলে রাখে। এ বিষয়ে মঙ্গলবার সুনামগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আবুল হোসেনের স্ত্রী সবতুন বেগম।

জানা যায়, গত ২১ অক্টোবর উপজেলা ইসলামপুর ইউনিয়নের সৈদাবাদ গ্রামের মৃত আব্দুল মনাফের ছেলে দিনমজুর আবুল হোসেন মাছ শিকার করতে গিয়ে নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় ২৭ অক্টোবর আবুল হোসেনের ভাই আলী হোসেন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

এরপর গত ২ নভেম্বর নিহত আবুলের স্ত্রী সবতুন বেগম বাদী হয়ে তার স্বামী আবুল হোসেনকে অপহরণ করে খুন ও লাশ গুম করার অভিযোগ এনে আমল গ্রহণকারী সুনামগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় একই গ্রামের ইন্তাজ আলীর ছেলে শুকুর আলীসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়।

এদিকে, আবুল হোসেন নিখোঁজ হওয়ার ২৪ দিন পর ১৫ নভেম্বর স্থানীয় রোয়া বিলের পাশে একটি কঙ্কাল উদ্ধার করে থানা পুলিশ। এ সময় কঙ্কালের পাশে আবুলের পরনের লুঙ্গি ও গেঞ্জি পাওয়া যায়। ঘটনার পর মামলার বাদী সবতুন বেগমকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে আবুল হোসেনের স্ত্রীর পরকীয়ার বিষয়টি জানতে পারে পুলিশ। তবে পরকীয়া প্রেমিক সাবুল মিয়া এখনো পলাতক রয়েছে।

ছাতক থানার ওসি মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, আবুল হোসেন হত্যা মামলার রহস্য এখন পরিষ্কার হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতারে কাজ করছে পুলিশ।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)