ভারতের আদানি পাওয়ারের বিদ্যুৎ মিলছে ডিসেম্বরে
নিউজ ডেস্ক:
ভারতের আদানি পাওয়ারের বিদ্যুৎ চলতি বছরের ডিসেম্বরে দেশে আসবে। ট্রান্সমিশন লাইনের মাধ্যমে দেশে এ বিদ্যুৎ সঞ্চালন করা হবে।
ভারতের শিল্পগোষ্ঠী আদানি গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠানটি ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা এলাকায় একটি থার্মাল পাওয়ার সেন্টার তৈরি করেছে। ঐ সেন্টার থেকে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডকে (পিডিবি) বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পুরোপুরি উৎপাদন শুরু করলে জাতীয় গ্রিডে ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করবে। এরই মধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নির্মাণকাজ ৮০ শতাংশ শেষ হয়েছে। সঞ্চালন লাইনের কাজও প্রায় শেষের দিকে।
এদিকে যথাসময়ে বিদ্যুৎ আনার বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান।
তিনি বলেন, আদানি পাওয়ারের সঙ্গে পিজিসিবির যোগাযোগ রয়েছে। নির্ধারিত সময়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরুর বিষয়ে আমরা তৎপর। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পর্যন্ত আমাদের সঞ্চালন লাইনের কাজও শেষ। উৎপাদন শুরুর পর বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে যতটুকু বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে আমরা তা সরবরাহ করতে পারব।
চুক্তি অনুসারে আগামী ২৫ বছর এ কেন্দ্র থেকে এক হাজার ৪৯৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনবে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। প্রতি ইউনিট ৬ টাকা ৮৯ পয়সা দরে আদানি পাওয়ারের বিদ্যুৎ কিনতে সম্ভাব্য ব্যয় হবে এক লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা।
এদিকে দেশে চলমান বিদ্যুৎ সংকট নিরসনের ক্ষেত্রে আদানির বিদ্যুৎ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন খাত-সংশ্লিষ্টরা। এ প্রসঙ্গে জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কয়লাভিত্তিক আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হলে একদিকে অর্থনৈতিকভাবে চাপ কমে যাবে, অপরদিকে বিদ্যুতের যে ঘাটতি চলছে সেটাও কমে আসবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি শুরু করে সরকার। বর্তমানে দেশটি থেকে এক হাজার ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করছে বাংলাদেশ।