তালায় ব্যবসায়ীর ধর্ষণে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হল নববধূ
তালা প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার পল্লীতে সাদ্দাম গাজী (৩২) নামের এক ব্যবসায়ীর ধর্ষণের শিকার হয়ে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন এক নববধূ। এদিকে ঘটনার পর একটি প্রভাব শালী মহলের হুমকিতে বাড়ি ছাড়া হয়েছেন ওই নববধূ। বর্তমানে অভিযুক্ত যুবকের ক্রমগত হুমকিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে নববধূর পরিবারের স্বজনরা ।
অভিযুক্ত পোল্ট্রি ব্যবসায়ী সাদ্দাম গাজী তালা উপজেলার দুধলী গ্রামের মৃত আবু বক্কর গাজী ছেলে। নববধূ হালিমা খাতুন (২২)একই এলাকার খালেক গাজীর মেয়ে। সরজমিনে গেলে ভুক্তভোগীর বাবা খালেক গাজী ও মা মনোয়ারা বেগম জানায়, সাদ্দাম প্রতিবেশী হওয়ার সুবাদে দিনরাতে অবাদে যাতায়ত করত হালিমা খাতুনের বাড়িতে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে মেয়েকে ভয়ভিতি দেখিয়ে নিয়মিত ধর্ষণ করে আসছিল সাদ্দাম গাজী । প্রায় দেড় মাস আগে সাতক্ষীরার সদর উপজেলার দামারপোতা গ্রামে ওয়াহিদ আলীর ছেলে মহিদুল ইসলামের সাথে বিয়ে হয় হালিমা খাতুনের। সপ্তাহ খানেক আগে আমার মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সাতক্ষীরা শহরের একটি বেসরকারী হাসপাতালে নিয়ে পরীক্ষা নিরিক্ষা করে জানতে পারি মেয়ে ৫মাসের অন্তঃসত্ত্বা।তাৎক্ষনিক ঘটনাটি শুনে জামাতা মেয়েক তালাক দিয়ে দেয়। এরপর সাদ্দামের ধর্ষণের ফলে মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে বলে মেয়ে আমাদের ঘটনাটি খুলে বলে ।নিরুপায় হয়ে ঘটনাটি সাদ্দামকে জানালে মেয়েকে স্ত্রী স্বীকৃতি দিয়ে অপারকতা প্রকাশ করে সে।
পরবর্তীতে এলাকাবাসীর মাধ্যমে সাদ্দামকে পুনরায় জানালে মেয়েকে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে বাড়ি ছাড়তে বাধ্য করে। সবশেষে অভিযুক্ত সাদ্দামের শাস্তির দাবী জানিয়ে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ভুক্তভোগীর পিতা-মাতা। স্থানীয়রা জানায়, আবুক্করের ছেলে সাদ্দাম এলাকার চিহ্নিত মাদক সেবী। এছাড়া সে জূয়া খেলা সহ একাধিক নারীতে আশক্ত। বর্তমানে সে মোটা টাকার মালিক হয়ে প্রভাবশালী এক নেতার ছত্রছায়ায় থেকে নানা অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে। আজ যে দরিদ্র পরিবারের মেয়েটি সর্বনাশ করল আমরা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাই। অভিযোগ অস্বীকার করে সাদ্দাম গাজী বলেন, ওই মেয়ের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই । তারা আমায় নিয়ে মিথ্যা বদনাম করছে আপনারা যা খুশি তাই করেন। পাটকেলঘাটা থানার ওসি কাঞ্চন রায় বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।