গোয়ালডাঙ্গা-তেঁতুলিয়া গ্রামের সেতুবন্ধন বাঁশের সাঁকোর দুরাবস্থা
জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি :
আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের গোয়ালডাঙ্গা বাজারে মরিচ্চাপ নদীর উপর বাঁশের সাঁকোর গুরুত্বপূর্ণ হলেও জরাজীর্ণতায় ব্যবহারকারীরা ঝুঁকিতে রয়েছে।
বাজারের মধ্যবর্তী স্থানে পাশের মরিচ্চাপ নদী পারাপারের জন্য এক সময় খেয়াঘাট ছিল। যা আমির চানের খেয়াঘাট নামে পরিচিত ছিল। তখন মানুষ খেয়া নৌকায় পারাপার হতো। নদীও ছিল বেশ বড়ো। বর্তমানে নদী ভরাট হতে হতে অনেক ছোট হয়ে গেছে। খেয়া নৌকার প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে গেছে। কিন্তু পারাপারের যাত্রী রয়েছে। বাধ্য হয়ে স্থানীয় ভাবে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে সাঁকো তৈরি করা হয়েছে। সংস্কারের অভাবে সাঁকোটি খুবই নাজুক ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সাঁবো পারাপারের সময় পা পিছলে ও বাঁশের ফাঁকে পা আটকে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হন অনেক যাত্রী।
এখান থেকে আধা কিলো মিটার পূর্বদিকে তেঁতুলিয়া ব্রিজ থাকলেও তেঁতুলিয়া, শ্রীরামকাটি, বৈরামপুর, কাটাখালিসহ কয়েক গ্রামের মানুষ ও আশ্রয় কেন্দ্রের মানুষ গোয়ালডাঙ্গা বাজারে নিয়মিত যাতয়াত করতে বা অন্য কোথাও যেতে এ সাঁকো ব্যবহার করে থাকেন। সাঁকো পার হতে জন প্রতি দিতে হয় ৫ টাকা করে।
এলাকাবাসী ও সাঁকো ব্যবসহারকারীদের দুরবাস্থার কথা বিবেচনা করে অতি দ্রুত সরকারি উদ্যোগে সাঁকোটি সংস্কার করে পারাপার ব্যবস্থা ঝুঁকিমুক্ত করতে প্রশাসন, জন প্রতিনিধি ও উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।